ঢাকা: মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে মোহাম্মদপুরের শিয়া মজসিদ এলাকার কয়েকটি বস্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পাঁচটি বস্তিতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম এবং ডগ স্কোয়াডের সদস্যরা।
অভিযানে বস্তির বেশ কয়েকটি ঘরে ঢুকে এয়ার কন্ডিশন (এসি), টিভি, ফ্রিজ দেখা গেলেও পাওয়া যায়নি তালিকাভুক্ত কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে। মঙ্গলবারের এ অভিযানে ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও ১০ জন মাদকসেবীকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের আবাসস্থল ছেড়ে পালিয়েছে।
অভিযানকালে বস্তির অধিকাংশ ঘরে তালা দেখা যায়। এ সময় তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশ এয়ার কন্ডিশনার, টিভি- ফ্রিজ দেখতে পায়।
এডিসি ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযানে মনিরা বেগম নামে একজনের একটি বিলাসবহুল ঘর দেখা যায়। তবে সেটি তালা মারা ছিল। তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কাউকে পাইনি, তারা এসি, টিভি, ফ্রিজ রেখেই পালিয়েছে। বস্তির ঘরগুলোর অবস্থা দেখে এটা পরিস্কার তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
আগাম খবর পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশব্যাপী অভিযানে সাপ্লাই চেইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে সুকৌশলে এলাকা ছেড়েছে।
পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের মোহাম্মদপুরে আর জায়গা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
মোহাম্মদপুর এলাকার অন্যতম মাদক স্পট জেনেভা ক্যাম্পে একাধিকবার অভিযানের পরও মাদক নিয়ন্ত্রণে আসছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি ওয়াহিদুল বলেন, জেনেভা ক্যাম্পে আমাদের নজরদারী রয়েছে। শুধু জেনেভা ক্যাম্প নয়, দেশজুড়ে মাদকের পুরো মাঠই পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল ও মধুবাগ এলাকায় পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৫০ জন মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে অবশ্য যাচাইবাছাই করে ১৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ছাড়া রাজধানীর তেজগাঁও, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পৃথক মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস