ঢাকা: ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও ময়মনসিংহের বাঘমারা এলাকা থেকে ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ৬২২ রাউন্ড গুলিসহ এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
বৃহস্পতিবার(৭ জুন) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কাউন্টার টেররিজমের প্রধান জানান, অস্ত্র সংগ্রহ ও বিক্রি করা এবং চুক্তিতে মানুষ খুন করাই ছিল গ্রেফতার ডা. জাহিদুল আলমের মূল পেশা। সম্প্রতি সিলেট এলাকার একজন সংসদ সদস্যকে হত্যার জন্য লন্ডন প্রবাসী একজনের সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছিল বলেও দাবি পুলিশের।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জানায়, গত মাসের ১৫ তারিখে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে ২টি দুটি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলিসহ ডা. জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে চলতি মাসের ৩ তারিখে গাবতলী থেকে তার স্ত্রী মাসুমাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মাসুমাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বামীর বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডারের সন্ধান মেলে। সবশেষ বুধবার (৬ জুন) রাতে ময়মনসিংহের বাঘমারায় জাহিদের বাসায় বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় উদ্ধার হয় বিপুল অস্ত্র ও গুলি।
অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, তার বাসায় বিশেষ ভাবে তৈরি করা দেয়ালে এই অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, উদ্ধার হওয়া রিভলবারে আটটি চেম্বার রয়েছে। কিন্তু থাকার কথা ছয়টি। মানে অস্ত্রগুলো অত্যাধুনিক।
কাউন্টার টেরোরিজম বলছে, ২০০২ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে ডাক্তারি পড়া শেষ করেন জাহিদ। মাঝে মাঝে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করলেও অস্ত্র কেনা বেচাই ছিল তার মূল পেশা। মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সে মাঝে মাঝে বিভিন্ন হসপিটালে চাকরি করলেও অস্ত্র কেনাবেচা তার পেশা।’
সম্প্রতি সিলেটের একজন সংসদ সদস্যকে হত্যার জন্য একজনের সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন বলে দাবি পুলিশের। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ের কাজ করতেন। লন্ডনের এক ব্যক্তি তাকে সিলেটের এক সংসদ সদস্যকে হত্যার জন্যে অর্থ দিয়েছিল।’
ডা. জাহিদুলের আলমের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ ছিলো না কি না তাও খতিয়ে দেখছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এমটিনিউজ২৪.কম/সাবা/আরএ