অসুস্থ হয়ে ফুটপাতেই কাতরাচ্ছিলেন মা। মাকে বাঁচাতে দুই পথশিশু আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এরকম একটি ভিডিও শেয়ার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেটি ভাইরাল হয়েছিল। সেই মাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পারভেজ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী গতকাল সোমবার ভিডিও পোস্টটি দিয়েছেন। তবে এখানেই থেমে থাকেননি পারভেজ। আরও ৫ জনের সহযোগিতায় এ মাকে ভর্তি করেছেন হাসপাতালে। রোববার রাতে অন্য এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পারভেজ লিখেছেন, কালকে যে অসহায় বাচ্চা আর মহিলার ভিডিওটি যাদের ইমোশনাল করেছে, তাদের কাছেও ক্ষমা চাচ্ছি। আসলে আমি আপনাদের ইমোশনাল করতে চাইনি। আমি জাস্ট আমাদের সমাজের প্রতিদিনের একটি করুণ দৃশ্য তুলে ধরতে চেয়েছি! প্রতিদিন বা মাঝে মধ্যেই এসব ফেস করতে হয়। তাই চেয়েছি আপনারা যাতে নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের জন্য একটু এগিয়ে আসেন! যাতে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ না থাকে। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সবার ওপরে মানুষ সত্য! ভিডিওটা আপ দিয়ে আমি ভাবিনি আপনারা এত সাড়া দিবেন। তার জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ! আল্লাহ আপনাদের এই মানবিক অন্তরকে আরো উজ্জ্বল করুক!
তিনি আরও লিখেছেন, আপনারা যারা খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, এই অসহায় মহিলা কেমন আছে? বা সেই বাচ্চাগুলোর কি খবর? তাদের সবাইকে আনন্দের সাথে বলছি, তারা এখন সুস্থ আছে। আজ সেই অসহায় মহিলাকে আমি আর ৫ জন ভাইয়া মিলে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছি। তখন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ডাক্তার বলেছে, তিনি আল্লাহর রহমতে ঠিক আছেন। কারণ আগের রাতে তাকে মেডিসিন দেওয়া হয়েছিল! চিকিৎসা শেষ করে মহিলার ছোট দুটো বাচ্চার জন্য নতুন জামা প্যান্ট সাথে মহিলার জন্য নতুন শাড়ি কিনে দেওয়া হয়েছে! তাদের সাময়িক খাবার দেওয়া হয়েছে। এর ভেতর যাদের কথা বলতে চাই! ইয়ামিন ভাইয়া এবং সাথে আরো ৩ জন ভাইয়া ছিল যারা যথেষ্ট সাহায্য করেছে, ডাক্তার তার ফি নেয়নি!
সবার উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, এ অসহায় পরিবারের কথা বলে কেউ যদি কোন মানবিক আবেদন করে, তাহলে তার সেই আবেদনে সাড়া দিবেন না। মনে করেন এই পরিবারটির একটা ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে! সো কেউ প্রতারিত হবেন না। আবারও ধন্যবাদ দিচ্ছি যারা আজ আমার পাশে ছিলেন।