ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে পোশাক শ্রমিক বৃষ্টি হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। দৈহিক সম্পর্কে জড়াতে রাজি না হওয়ায় তারই দুলাভাই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এর আগে, গত সোমবার সকালে রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃষ্টির বাবার করার মামলায় একমাত্র আসামি তার দুলাভাই সুমনকে (২৯) মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে র্যাব-৩।
এমরানুল হাসান জানান, সম্পর্কে সুমন বৃষ্টির দুলাভাই। ২০১০ সালে বৃষ্টির বোনের সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। এরপর সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গত দুই-তিন বছর ধরে সুমন তার শ্যালিকা বৃষ্টিকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতেন। পরে দুজনই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে বৃষ্টির অনত্র বিয়ে ঠিক হয়। ঘটনার দিন বৃষ্টিকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন সুমন। এরপর বৃষ্টিকে দৈহিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু বৃষ্টি রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়।
বৃষ্টি বিষয়টি আত্মীয়স্বজনদের কাছে প্রকাশ করে দিতে পারেন এমন আশঙ্কায় সুমন পরে বৃষ্টির ওড়না দিয়ে তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বৃষ্টিকে হোটেল রুমের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে সুমন বাইরে যান। পরে হোটেলে ফিরে বৃষ্টি আত্মহত্যা করেছেন বলে চিৎকার করতে থাকেন সুমন। এ সময় হোটেলের লোকজন এলে সুমন নিজেই ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা বৃষ্টিকে ওপর থেকে নামিয়ে মাথায় পানি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সুমন কৌশলে হোটেল থেকে পালিয়ে যান।