ঢাকা: ঢাকার দোহার উপজেলার উত্তরজয়পাড়া চৌধুরীপাড়া সংলগ্ন মিয়াপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ির পুকুর থেকে সোমবার বিকালে শিখা আক্তার (১৮) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে দোহার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নববধূর শাশুড়ি আসমা আক্তার সহ চার জনকে আটক করেছে দোহার থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার উপজেলার দোহারঘাটা এলাকার কুয়েত প্রবাসী মো. সিরাজের মেয়ে শিখা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার উত্তরজয়পাড়া মিয়াপাড়া এলাকার মনোয়ার হোসেন মানুর ছেলে রুহুল আমীনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শনিবার বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান ছেলের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। রোববার রাত থেকে শিখা নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া গেলে তাকে সবাই খোঁজাখুঁজি করে। একপর্যায়ে গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শিখার পরিবারের লোকজন তার শ্বশুরবাড়ি উত্তরজয়পাড়ার মিয়াপাড়ায় তাদের পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে কলসবাঁধা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর পর নববধূ শিখার আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন উত্তরজয়পাড়া এলাকায় ছেলের বাড়ি ছুটে গেলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ছেলের মা সহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে চারজন আটকের খবরে শিখা হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে থানার সামনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছে শিখার গ্রামের এলাকাবাসী। ওই দিনই রাতে এই ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে নিহত শিখার মা রুনু বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে শিখার শাশুড়ি আসমা আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখায় দোহার থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা শিখার শাশুড়ি আসমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিরাও শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে। ঘটনার পর পর নববধূর স্বামী রুহুল আমীন পলাতক রয়েছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে জয়পাড়ায় শিখা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।