ঢাকা: অলস সময় কাটছে। পা গুটিয়ে শুয়ে শুয়ে জাবর কাটছে উদাস মনে। পানি, খাবার রাখা আছে কাছেই। তাতে নজর নেই। অলসতা দেখানোর সময়-ই বটে। কখনও তীব্র রোদ, আবার কখনও ভ্যাপসা গরম। এমন গরমে শরীর এলিয়ে দিয়ে বিশ্রাম নেয়াই উত্তম বটে।
আয়োজন বিশ্রামের, তবে সে বিশ্রামে স্বাদ মিলছে না। মরু দেশের প্রাণী উটটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে দর্শনার্থীরা। একটি মাত্র উট। আর তাকে ঘিরেই যেন গাবতলী হাটের মধ্যে আরেকটি হাট। যিনি-ই আসছেন এই গলিতে, তিনিই দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন উট দেখতে। কেউ দেখছেন উৎসাহ নিয়ে, কেউবা দেখছেন অবাক চোখে। গরুর হাটে উটের দেখা!
হাজারো গরুর মাঝে নিজেকে ভিনদেশি মেহমান হিসেবেই জাহির করছে যেন। নইলে মানুষের এত ভিড় কেনো! কেউ সেলফি তুলছেন। কেউ দাম জিজ্ঞেস করছেন। কোন দেশ থেকে আনা হয়েছে, এমন সব প্রশ্নে বিরক্ত দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাফর। বিরক্ত উটটিও। উটের পাশে দুটি দুম্বাও বাঁধা।
আমজাদ ব্যাপারী উট এবং দুম্বা দুটি কিনে এনেছেন পাশের দেশ ভারতের রাজস্থান থেকে। প্রতি বছরই আনেন উট এবং দুম্বা। মূলত কোরবানির বাজার উপলক্ষেই তার এই উটের ব্যবসা। গত বছর ব্যবসা ভালো যায়নি। তাই এবার একটি উট তুলেছেন হাটে। গত বছর কিনে আনার পর থেকেই উটটি রাখা হয়েছে গাবতলী হাটে।
আমজাদ ব্যাপারীর ছেলে জাফর উটের পাশে চেয়ারে বসেই আগুন্তকদের সঙ্গে কথা বলছেন। কত দিয়ে কিনে আনা হয়েছে, তা বলতে রাজি হলো না। দুম্বা দুটির কেনা দামও বলল না। তবে বিক্রির জন্য উটটির দাম হাঁকিয়েছেন ১৮ লাখ। আর দুম্বা দুটির দাম চাইছে ৭ লাখ।
এই ব্যাপারে জাফর বলেন, প্রতি বছরই এই হাটে উট আর দুম্বা বিক্রি করে থাকেন। মূলত ভারত থেকেই আনা হয় এসব পশু। অনেকেই উৎসাহ থেকে এসব পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তবে এবার একটি উট আর দুটি দুম্বা আনা হয়েছে। উটের দাম ১৮ লাখ টাকা আর দুম্বা জোড়ার দাম চাইছি ৭ লাখ টাকা। তবে কত টাকায় বিক্রি করবেন, তা বাবা ভালো জানেন।