ঢাকা: অসুস্থ মেয়েকে উদ্ধার করে তাকে মানসিক চিকিৎসা করানোর দাবি জানিয়েছেন সুরেশ সরিষার তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অন্নপূর্ণা অয়েলের স্বত্বাধিকারী সুধীর চন্দ্র সাহা। তিনি অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল মানসিক অসুস্থ তার মেয়েকে অপহরণের নাটক করে প্রায় চল্লিশ কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার একমাত্র মেয়ে লিমা সাহা নরসিংদী সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিল। ওই সময় নরসিংদীর জনৈক ইতি রানী পাল তার ছেলে সৈকত পালকে পরিকল্পিতভাবে লিমার পেছনে লেলিয়ে দেন। সৈকত তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদকাসক্ত করে। মাদকের ছোবলে ধীরে ধীরে মানসিক ও শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়ে লিমা। তাকে সুস্থ করতে গুলশানের বীকন পয়েন্ট নামে একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে ডাক্তার দেখালে চিকিৎসকেরা তাকে ‘নিমফোমানিয়া’ রোগী বলে শনাক্ত করেন। এর মধ্যে মাস্টার্স পাস করার পর সৈকত পালদের প্ররোচনায় লিমা একাই ভারত যেতে চায়।
বিষয়টি সন্দেহের ভেবে বাবা সুধীরও সাথে যান। কিন্তু বাবাকে দেখেইে মেয়ে গালাগাল শুরু করে। পরে ভারতে গেলে সেখান থেকে ইমিগ্রেশন কর্তপক্ষ তাদের ফেরত পাঠায়। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে নেমে সৈকতপালের ভগ্নিপতি শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিজয় রায়ের সহযোগিতায় ইমিগ্রেশন না করে বের হয়ে যায় লিমা। পরে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী কমিশনারের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করেন পিতা। এরপর লিমা সাহাকে বিয়ে করেছে বলে দাবি করে সৈকত পাল। তার পর থেকে মেয়েকে আর খুঁজে পাননি তিনি।
সুধীর সাহা বলেন, ইতি রানী পাল ও তার পরিবার তার প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের লক্ষ্যে একমাত্র মেয়েকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করছে। তার লিমা মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তার সুচিকিৎসা দরকার। তাকে উদ্ধার করে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।