নিউজ ডেস্ক: যানজটসহ গণপরিবহনে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর কর্মজীবী নারীদের আগ্রহ বাড়ছে মোটরসাইকেলের অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ে। একদিকে স্বস্তিতে গন্তব্যে যেতে পারছেন নারী যাত্রীরা অন্যদিকে বাড়তি টাকা আয় করছেন নারী বাইকার।
ঢাকার নারী বাইকার। বাইকিং যাঁদের কাছে প্যাশন আর ফ্যাশন নয় এখন প্রয়োজন। রাস্তাঘাট সবখানেই নারী বাইকার রাজধানীবাসীর এখন চোখ সওয়া। এক পা একপা করে আগানো। শুরুটা সহজ ছিল না। ঘরে আর বাইরের সব সীমাবদ্ধতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এগিয়ে যান বলেই তো তাঁরা অপরাজিতা।
নারী বাইকাররা জানান, চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থাকতে হচ্ছে না। বোর ফিল করতেছি, বাইক নিয়ে বের হয়ে গেছি। যেদিন আমি পা তুলে বাইক চালিয়েছি, সেই ভিডিওটা আমি মাকে দেখেয়েছি।
গণপরিবহনে স্বস্তিতে গন্তব্যে পৌঁছানো ছিল নারীদের কাছে স্বপ্নের মতো। আর এখন অ্যাপসভিত্তিক মোবাইল সার্ভিসের মাধ্যমে সহজেই নারীরা সহজেই খুঁজে নিচ্ছেন লেডি বাইকার। নিরাপত্তা আর স্বস্তির সাথে বাড়তি আয়ের বিষয়টি উপভোগ্য লেডি বাইকারদের কাছেও।
এক নারী বাইকার বলেন, আমি একজনকে সাহায্য করতে পারতেছি। এর মাধ্যমে আমি নিজেও কিছু আয় করতেছি।
সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ার কারণেই বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা অনেকটাই নারীবান্ধব যা ইতিবাচক বলছেন সচেতন নারীরা।
যাবো বহুদূরের টিম লিডার আতিকা রোমা বলেন, থুতু দিয়েছে, ঢিল মেরেছে সেটা এখন ফেস করতে হচ্ছে না। এখন সাধারণ জনগণ অনেক সচেতন। সেই সাথে পরিবেশটা নারীবান্ধব হয়েছে।
বাংলাদেশ উইম্যান রাইডার্স ক্লাবের তথ্যমতে, রাজধানীসহ সারাদেশে ২০০০ নারী বাইকার রয়েছে যার ৯০ শতাংশই কর্মজীবী।-সময় টিভি