ঢাকা: রাজধানীতে ভিকারুননিসা স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের দাবি, স্কুলের শিক্ষকদের কাছে বাবার অপমান সইতে না পেরে সোমবার দুপুরে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি অধিকারী নামের ওই ছাত্রী। মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান জানান, রাজধানীর শান্তিনগরে সাত তলা একটি ভবনের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অরিত্রির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীর সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হবে।
নিহতের বাবা সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী দিলীপ অধিকারী ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গতকাল রবিবার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। স্কুলে গেলে কর্তৃপক্ষ আমাকে জানায়, অরিত্রি মোবাইলে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। আজ দুপুরে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
নিহত অরিত্রির গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। সে পরিবারের দুই বোনের মধ্যে বড়।