নিউজ ডেস্ক: ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে, তারেক রহমান বিদেশে। এ অবস্থায় আপনারা সবাই ধৈর্য ধরুন। আপনারা দলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মী।’ আজ শনিবার রাতে এভাবেই মাইকিং করা হচ্ছিল গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে।
মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে দলের হাইভোল্টেজ নেতাদের অনুসারীদের করা ভাঙচুর ও বিক্ষোভের ঘটনায় এভাবেই কর্মীদের শান্ত থাকতে আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি।
এ ঘটনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত মনোনয়ন সাময়িক ভাবে বন্ধ করেছে দলটি। এ ব্যাপারে মাইকের ঘোষণায় বলা হয়, ‘প্রিয় নেতা-কর্মীরা, আপনারা আগামীকাল (রোববার) সকাল ১০টায় আসবেন। কাল সকালে মনোনয়ন বিতরণ করা হবে। কেউ কোনো ঝামেলা করবেন না। সবাই চলে যান।’
মাইকে আরও বলা হয়, ‘সবাই দয়া করে শুনুন, এটা আমাদের সবার অফিস। আজকে কোনো মনোনয়ন বিতরণ করা হবে না, কারও মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দয়া করে কেউ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না।’
তবে কখন আবার এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে, তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না নেতারা। ফলে যারা চূড়ান্ত মনোনয়ন নিতে পারেননি, তারা বেকায়দায় পড়েছেন।
কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের পর থেকে ভেতরেই অবস্থান করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।
গতকাল শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ। গতরাতে বিক্ষোভ শুরু করেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলুর অনুসারীরা। একই সময় বিক্ষোভ শুরু করেন কুষ্টিয়া-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের অনুসারীরাও।
আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মনোনয়নবঞ্চিত এহছানুল হক মিলন, তৈমুর আলম খন্দকার ও সেলিমুজ্জামান সেলিমের অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা। সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে ভাঙচুর করেন। প্রধান ফটকে লাথি মারেন, ধাক্কা দেন, ইট-পাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এ সকল হাইভোল্টেজ নেতাদের অনুসারীরা। এরপরই কার্যালয় থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়।