সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:১৫:২২

হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো বিএনপি প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিনকে

হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো বিএনপি প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিনকে

শরীয়তপুর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় হামলায় গুরুতর আহত বিএনপি প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শরিয়তপুর থেকে একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে নুরুদ্দিনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুজ্জামান শিপন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গুরুতর আহত মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অপুকে এখন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

গুরুতর আহত মিয়া নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপু শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা-গোসাইরহাট) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এপিএস। ওই হামলায় আরও ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নুরুদ্দিন নেতা-কর্মীদের নিয়ে গোসাইরহাট উপজেলার কুদালপুর থেকে মিছিল করে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মিছিলটি সদরের পট্টি এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে নুরুদ্দিন মাথা ও ঘাড়ে আঘাত পান। নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে কুদালপুর ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশুকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। হামলার ঘটনায় ওই এলাকায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

নুরুদ্দিন দাবি করেন, তাঁকে মেরে ফেলার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। তিনি এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন।

বেলা একটার দিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ও গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা নুরুদ্দিনকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। আলমগীর বলেন, বিএনপির প্রার্থী গোসাইরহাটে যাবেন, তা তাঁদের জানা ছিল না। হামলার এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওসি বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থীর ওপর হামলা হয়। লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাহিম রাজ্জাকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে গোসাইরহাট উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিরউদ্দিন জানান, এখানে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়। এ থেকেই প্রার্থীর ওপর হামলা হতে পারে। এতে আওয়ামী লীগ যুক্ত নয়। বাজারের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া দেন।

গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মুখোমুখি মিছিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলায় বিএনপির প্রার্থী নুরুদ্দিন অপু আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে