নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) দাবি জানিয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সংগঠন সচেতন নাগরিক সমাজ বলেছে, এ দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী এবং স্পিকার একজন নারী। এরপরেও নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার একজন গৃহবধূর ওপর একদল কাপুরুষ এমন জঘন্য কাজ করেছে, এই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বিষয়টা এখন সবারই জানা। ওই নারীর দোষ তিনি নৌকা মার্কায় ভোট দেননি। নিজের ভোট নিজেই দিয়েছেন, স্বেচ্ছায় দিয়েছেন। অথচ এটি তার গণতান্ত্রিক অধিকার।
বক্তারা আরও বলেন, এ রকম দুঃস্বপ্নময় ঘটনা কোনো মা-বোনকে আর যেন দেখতে না হয়। আমরা চাই, কোনো মা-বোনের সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটুক। এসব কাপুরুষ, অমানুষদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আজ আমরা একত্রিত হয়েছি। আমরা আর নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকবো না, প্রতিবাদ করবো, নতুন করে দীপ্ত শপথ নেবো।
সংগঠনটির মুখপাত্র রাজধানীর মাহাদুশ শায়েখ ফুয়াদ লিদ্দিরাসাতিল ইসলামিয়ার শিক্ষার্থী শরাফত শরীফ কাসেমী বলেন, আর কোন নারী যেন ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার না হয় সে জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে হায়েনাদের প্রতিহত করতে হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য ইখলাস আল ফাহিম, কে এম ইমরান হোসাইন, যিয়াদ বিন সাঈদ প্রমুখ।