নিউজ ডেস্ক: এ যেন সিনেমাকেও হার মানায়। তিন বোনের এক স্বামী। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা সত্য। সাভারের তেতুঁলজোড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মুসলিম পাড়া এলাকায় একে একে তিন বোনকে বিয়ে করেছেন সোহরাব হোসেন নামে এক যুবক। পেশায় তিনি একজন নরসুন্দর।
খুলনা জেলার কয়রা থানার বাগমারা এলাকার আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে সোহরাব সরদার প্রথমে লিমা আক্তারকে (২১) বিয়ে করেন ৪ বছর আগে। বিয়ের ১ বছর পর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার বড় বোনকে (২২) বিয়ে করেন। তিন বছর সাংসারিক জীবন অতিবাহিত করেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে।
সম্প্রতি আবারও তিনি তার শ্যালিকা অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর আপন ছোট বোনকে (১৮) বিয়ে করেন। গত ৩ জানুয়ারি তৃতীয় বিয়ের পর আলাদা সংসার পেতেছেন সোহরাব।
ছোট বোন মাত্র তিন মাস আগে পোশাক কারখানায় কাজ নিতে বড় বোনের বাসায় আসেন। সোহরাবের দ্বিতীয় স্ত্রীও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। একই কারখানাতে ছোট বোনকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন বড় বোন। চাকরি পেয়ে বোন-দুলাভাইয়ের সঙ্গে একই বাসাতে থাকতেন ছোট বোন।
অল্প কিছুদিন আগে ছোট বোন শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। বমি হতে থাকে ঘনঘন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ধরা পড়ে প্রেগন্যান্সি। তারপরই দুলা ভাইয়ের সঙ্গে অবৈধ মেলা মেশার কথা শিকার যান ছোট বোন।
বড় বোন রাতের বেলায় কাজে থাকলেই শ্যালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন দুলাভাই। প্রেগন্যান্সি ধরা পড়ার তিনদিনের মাথায় শ্যালিকাকে বিয়ে করে নেন সোহরাব। এভাবে একে একে আপন তিন বোনের স্বামী হয়ে যান বিকৃতমনা সোহরাব।
বর্তমানে তারা সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। যে তিন বোনকে একে একে নিজের স্ত্রী বানিয়েছেন সোহরাব তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী সোহরাবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম স্ত্রী নিজেই আমাকে ছেড়ে যান। এরপর তার বড় বোন আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু তিন বছরের সংসার জীবনে আমরা নিঃসন্তান থাকি। তাই প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট বোনকে বিয়ে করতে বাধ্য হই।