‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের একটি ঘটনা ঘটেছে। যে ব্যক্তিরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের নেতৃত্বে একজন আওয়ামী লীগ নেতা আছেন বটে। তবে ওই আওয়ামী লীগ নেতা আসলে আওয়ামী লীগ ছিলেন না, বিএনপি করতেন।’
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাগো বাংলা ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচন-২০১৮ : অপরাজনীতির প্রস্থান ও নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি করেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাবেক এ বিচারপতি বলেন, ‘ওই ধর্ষণের ঘটনায় রাজনীতির সম্পর্ক কিন্তু খুবই কম। মহিলা সমিতির দুইজন ইতোমধ্যে ঘুরে এসেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাটি নেহায়েত ব্যক্তিগত কারণে ঘটেছে। তিনি (অভিযুক্ত ব্যক্তি) অতীতে বিএনপিতে ছিলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে জয়েন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের অত্যন্ত নিম্নস্তরের নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো সরকার ওই ঘটনায় “আউট অব দ্য ওয়ে”তে পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আমিও চাই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এইবার নির্বাচনে বহু দেশের অবজারভার (পর্যবেক্ষক) এসেছিলেন। নেপাল থেকে, ভারত থেকে, ওআইসি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এসেছিলেন। কেউ কিন্তু মৌলিক অনিয়মের কোনো কথা বলেননি। ছোটখাটো দুই একটি ঘটনা ঘটেছে।'
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই একশ’ ভাগ অনিয়মহীন নির্বাচন হয় না, কোথাও হয় না। এমনকি যুক্তরাজ্যের মতো দেশেও হয় না, এখনও হয় না। যেখানে আমি আমার জীবনের বড় একটা অংশ কাটিয়েছি। সুতরাং একেবারে একশত ভাগ ধোয়া তুলশিপাতার নির্বাচন হবে, এটা আশা করা যায় না। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে এত নিষ্কলুষ নির্বাচন, এত প্রচ্ছন্ন নির্বাচন আমি আগে কখনও দেখিনি, অনেক অবজারভারই দেখেননি।’
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান চৌধুরী, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আলী সিকদার, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম।-জাগো নিউজ