বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৯, ০১:২৯:৪৯

ফেসবুক পোস্টে এবার ব্যতিক্রমী অনুরোধ জানিয়ে ভাইরাল হলেন এমপি স্বপন

ফেসবুক পোস্টে এবার ব্যতিক্রমী অনুরোধ জানিয়ে ভাইরাল হলেন এমপি স্বপন

নিউজ ডেস্ক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া ঢাকা-১৯ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের পর এবার ব্যতিক্রমী সেই অনুরোধ জানিয়ে ভাইরাল হলেন আরেক সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণ ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফেসবুক পোস্টে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, তাকে যেন ক্রেস্ট, বাঁধাই করা মানপত্র অথবা কোনও উপহার দেওয়া না হয়।

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০১৪ সালে তিনি জয়পুরহাট-২ (কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর) থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার একই আসন থেকে ২ লাখ ২৮ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার প্রতিপক্ষ ধানের শীষ নিয়ে বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান পান ২৬ হাজার ১২০ ভোট।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর স্বপন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এলাকার জনসাধারণ ও নেতাকর্মীদের অনুরোধ করে লেখেন, ক্রেস্ট, বাঁধাই করা মানপত্র, ফুলের তোড়া বা কোনও উপহার দেওয়া হলে আমি গ্রহণ করবো না। আমার জন্য চাঁদাবাজি করে গেট নির্মাণ করবেন না। কোনও শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড় করে রাখলে আমি সেই অনুষ্ঠান বয়কট এবং সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবো।

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, রকমারি খাবার, বোতলজাত পানি এবং চা আপ্যায়নের ব্যবস্থা করলে আমি সেই অনুষ্ঠান বর্জন করবো। কোনও প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে কেউ বিপুল অর্থ ব্যবহার করে স্টেজ নির্মাণ করবেন না। কোনও অনুষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে দয়া করে দাবি-দাওয়ার নামে ভিক্ষাবৃত্তি শেখাবেন না। এ ক্ষেত্রে বয়স্করা দয়া করে প্রকৃত সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের কথা বলতে পারেন। আর সরকারি কর্মচারী ছাড়া দয়া করে আমাকে কেউ স্যার সম্বোধন করবেন না। সরকারি কর্মচারীরা তাদের নিজস্ব রীতি মেনে চলেন। কাজেই সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়।

স্বপন লিখেন, উপরোক্ত বিষয়গুলো আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রযোজ্য। বিষয়গুলো আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বিভাগের জন্যও প্রযোজ্য। আমাকে কোথাও আমন্ত্রণ জানালে আমি উপস্থিত থাকতে সম্মত হলে সেই আয়োজকদের জন্যও প্রযোজ্য। আমি প্রজাতন্ত্রের জনপ্রতিনিধি, জনগণের দয়ায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে শপথ গ্রহণ করেছি। রাষ্ট্র আমাকে আইনানুগভাবে বেতন-ভাতা, সম্মানী ও সুবিধাদি দেয়।

সংসদ সদস্যের দেওয়া ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস এখন জয়পুরহাট এলাকার মানুষদের মুখে মুখে। বিশেষ করে কালাই ক্ষেতলাল আক্কেলপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিষয়টি বেশ আলোচিত। সংসদ সদস্যের এমন অনুরোধের বাস্তব রূপ দেখার জন্যই অপেক্ষায় থাকবেন এমন মন্তব্য এলাকার তরুণ শিক্ষার্থীদের।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে