জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবারও মাদক সেবনকালে বহিরাগত পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ১০ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের পেছনের বারান্দা থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় তাদেরকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্য পাঁচজন বহিরাগত ও পাঁচজন জাবির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
আটকদের মধ্যে বহিরাগতরা হলেন- গুলশান কমার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজিফা তাবাস্সুম (২১), স্কলার্স ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের নাফিজ আদনান (২২), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের আদনান শাহেদ (২০), মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজের আরমিনা আক্তার (২২) এবং আমরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জিসান আহমেদ উষ্ণ (১৯)।
এছাড়া জাবির পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সামিহা ইসলাম, রোজেন নূর, নোমান এবং ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের রাকিব নিহাল ও নারমিন সুলতানা উপমা। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের পেছনের বারান্দায় তারা মাদক সেবন করছিলেন। এ সময় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক বিষয়টি দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর গিয়ে তাদেরকে আটক করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা মাদক সেবনরত অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করি। পরবর্তীতে তাদের তল্লাশি করে মদ, গাঁজাসহ মাদকসেবনের বিভিন্ন দ্রব্য উদ্ধার করি। বহিরাগতদের ব্যাপারে তাদের অভিভাবক ডেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। আর ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, বহিরাগতরা এসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিয়মিত মাদকের আসর বসায়। আমরা তাদেরকে আটক করলে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সুপারিশ আসে, যেটা দুঃখজনক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে তথ্য পেয়ে আমরা গিয়ে তাদেরকে আটক করি। বহিরাগতদেরকে নিরাপত্তা শাখায় দিয়েছি। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদেরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে জাবির মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলার সময় পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাদক সেবনকালে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ১০ জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যায়ল প্রশাসন। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকেও ছেড়ে দেয়া হয়।