ঢাকা: দিনে দুপুরে চুরি হয়ে গেছে ৯ কিলোমিটার উড়ালসেতুর সব বৈদ্যুতিক তার। তাই রাতে বিকল আলোকবাতি, দিনে বন্ধ ট্রাফিক সিগনাল। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় মোড়গুলোতে নিয়মবহির্ভূত গাড়ি চলাচলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজট।
উদ্বোধনের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মালিক না থাকায় মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভার এখনো নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়েই আছে। সম্প্রতি দুই সিটি করপোরেশনকে এটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হলেও অর্থের অভাবে কাজ শুরু করতে পারেনি তারা।
দ্বিতল উড়ালসেতুর ওপরের অংশ আরও ভূতুড়ে। অন্ধকারে সামনের গাড়ি দেখা যায় না। প্রায় মুখোমুখি হচ্ছে যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা। ছিনতাইকারীদের উপদ্রবতো আছেই।
একজন বাস ড্রাইভার বলেন, এখানে কোন সিগনাল নেই, নেই কোন বাতি। একটা গাড়ির সঙ্গে আরেকটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়।
একজন বাইক আরোহী বলেন, ফ্লাইওভার হচ্ছে ননস্টপ গাড়ি চালাবে। কিন্তু আমরা তো তা পারছি না।
এবার দিনের আলোয় অভিযোগগুলোর বাস্তবতা খোঁজা যাক। এটা মৌচাক মালিবাগ সিগন্যাল। সিগনালবাতি বিকল, আবার নেই কোন ট্রাফিক পুলিশও। যার যেমন খুশি, যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই চারদিকের গাড়ি চলছে।
২০১৭ সালে এটি উদ্বোধনের পরপরই চুরি হয়ে গেছে পুরো উড়ালসেতুর বৈদ্যুতিক তার। তাই জ্বলে না আলোকবাতি ।
কারণ, উদ্বোধনের এক বছর পরও এটির দায়িত্ব বুঝে নেয়নি কোন সংস্থা। প্রকল্প পরিচালকও জানেন না এতদিন কার দায়িত্বে ছিলো এ উড়ালসেতু।
মগবাজার মৌচাক উড়ালসেতু সাবেক প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল বলেন, আমি এখন সিরাজগঞ্জ প্রেজেক্টের পিডি। কিন্তু যেহেতু আমি ছিলাম, এখন সিটি করপোরেশনের সঙ্গে হ্যান্ডওভার সংক্রান্ত আছে। ডোনাররা মাঝে মাঝে আসে, এগুলো নিয়ে ডিসকাশন হয়, ফলোআপ হয়। এগুলো নিয়ে আমাকে ডিল করতে হয়, এ পর্যন্তই।'
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এটি নির্মাণ করে। ফ্লাইওভারটির মৌচাক থেকে মালিবাগ, শান্তিনগর, রাজারবাগ অংশ দক্ষিণের এবং মালিবাগ রেলগেট থেকে মগবাজার এবং বাংলামোটর অংশটি উত্তর সিটির অধীনে পড়ে। অবশেষে ৩ মাস আগে এটির দায়িত্ব দুই সিটিকে দেয়া হয়েছে, কিন্তু নেই আর্থিক বরাদ্দ। অব্যবস্থাপনা তাই এখনো বিদ্যমান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উড়ালসেতুর নানা কারিগরি দিক, ট্রাফিক, নিরাপত্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সব কিছুতেই রয়েছে সমস্যা।
সূত্র: সময়নিউজ.টিভি