নিউজ ডেস্ক: জরুরি সেবা ৯৯৯মধ্যরাত। ভাই থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। আর বড় বোন ও মা পটুয়াখালীতে। রাতেই হঠাৎ বোনকে ফোন করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের কথা জানান ভাই। তার আর এই জীবন ভালো লাগছে না। ঘরেই দড়িতে ঝুলে নিজের প্রাণ কেড়ে নিতে চান তিনি। একইসঙ্গে তিনি পরিবারের সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এসব কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে বোনের। উপায় না দেখে তিনি ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। পুলিশের কাছে ভাইকে বাঁচানোর আকুতি জানান।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রুত মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। তারা রাতে টহলে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেন বোনের। পুলিশ গিয়ে হাজির হয় মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিংয়ের এক নম্বর এভিনিউয়ে তার ভাইয়ের বাসায়। তাকে আনা হয় থানায়। তারপর রাত থেকে রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউন্সেলিং করা হয় তাকে। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নথিভুক্ত করে তাকে আবার স্বজনদের হেফাজতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারা নিজেদের জন্য আনন্দের মনে করছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিরাজুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘৯৯৯ এখন সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’