নিউজ ডেস্ক: রাজধানীল চকাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খুব অল্প সময়েই ঘটে যায় ধ্বংসযজ্ঞ। ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দের পর মাত্র ১৫ সেকেন্ডেই সবকিছু গ্রাস করে ফেলে আগুন। এমনটি জানালেন সেই সময়ের দেখা পুরো ঘটনা।
অফিস শেষ করে চকবাজারের ওই সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সার্জেন্ট তৈয়েবুর রহমান তপু। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। মাথা তুলে দেখতে পান, ধেয়ে আসছে আগুন। দ্রুত দৌঁড়ে নিরাপদে পৌঁছে যান তিনি।
তৈয়েবুর বললেন, ‘বিকট আওয়াজের ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে চুড়িহাট্টার গলিতে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। আমি যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে ১০ হাত দূরে থাকলে দৌড়ে পার পেতাম না। সঙ্গে সঙ্গে আগুনে পুড়ে আমি ওদের মতো লাশ হয়ে পড়ে থাকতাম।’
বৃহস্পতিবার সকালে সবাই যখন লাশের খোঁজে ব্যস্ত তখন তপু খুঁজছেন তার মোটরসাইকেল। সেখানেই গণমাধ্যমকে নিজের অবিশ্বাস্য বেঁচে যাওয়ার স্মৃতি বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তখন মসজিদের সামনে। বিকট আওয়াজের পর দেখি চারদিকে আগুন। পড়ে গেলাম। কীভাবে আমি যেন মসজিদের বাঁ পাশের চাপা গলি দিয়ে দৌড় দিলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি, চুড়িহাট্টা গলির রাস্তার সব গাড়ি পুড়ছে, ভবন পুড়ছে।’
শেষ পর্যন্ত মোটরসাইকেলটি খুঁজে পেলেন তৈয়েবুর। তবে সেটি এখন ছাই। তপু বলেন, ‘ভাগ্যগুণে আমি গতকাল বেঁচে গেছি। ভয়াবহ এই আগুনের মধ্যে আমিও পড়েছিলাম। আমিও এখানে ওদের মতো মরে যেতে পারতাম।’
তৈয়েবুর বলেন, ‘বিস্ফোরণের পর আমি যেখানে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই সেই জায়গাটা রাজ্জাক ভবন থেকে ২০-২২ ফুট দূরে। আমি বাইক থেকে পড়ে গিয়ে যদি বাইক উঠতে যেতাম, তাহলেই পুড়ে মরতাম। মোটরসাইকেলটি পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। আমারও একই অবস্থা হওয়ার কথা ছিল। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’ সূত্র: সময় নিউজ।