নিউজ ডেস্ক: তদন্তে প্রতিবেদনে উঠে এল চকবাজারে আগুন লাগার আসল কারণ! পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহীদ দিবসে এমন ভয়াবহ ঘটনায় পুরো দেশ ও জাতি শোকাহত।
গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গ্যাসের সিলিন্ডারটি ওয়াহেদ ম্যানসনের হোটেল বা ভবনটির সামনে একটি গাড়ি থেকে বিস্ফোরিত হয়েছে। এমনকি অগ্নিদগ্ধ কারো দেহে কেমিক্যালের চিহ্ন বা গন্ধ পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক তদন্তে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে চকবাজার এলাকার চুড়িহাট্টা জামে মসজিদ সংলগ্ন আসগর লেন, নবকুমার দত্ত রোড ও হায়দার বক্স লেনের মিলনস্থলে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই গলিপথের একপাশে ওয়াহেদ ম্যানসন। অন্যপাশে বাচ্চু মিয়ার গলি। ওয়াহেদ ম্যানসনের নিচতলায় হোটেল ও ওপরের তলায় কসমেটিকসের গুদাম ছিল। এর আশপাশের কয়েকটি দোকানে বিক্রির জন্য প্লাস্টিকের গ্রেনুলার রাখা ছিল।
এই এলাকায় কেমিক্যালের কারখানা ছিল উল্লেখ করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আশপাশে কেমিক্যালের কোনো কারখানা বা গোডাউন (গুদাম) ছিল না। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারবাহী একটি গাড়ি রাখা ছিল। এ সময় হোটেল অথবা গাড়িতে রাখা একটি গ্যাস সিলিন্ডার হঠাৎ করে বিস্ফোরিত হয়। ওই বিস্ফোরণে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই আগুন বৈদ্যুতিক লাইনের ট্রান্সফরমারে ধরে যায়। এতে ওই ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে। এর ফলে পুরো এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ফলে ওই স্থানের বাসিন্দারা অন্ধকারে বের হওয়ার পথ হারিয়ে ফেলেন।
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ, অগ্নি দুর্ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশসহ ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মফিজুল হককে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।