নিউজ ডেস্ক: আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া প্রতিবেশীদের জন্য কান্নার রোল পড়েছে চুড়িহাট্টায়। শুক্রবার পুড়ে যাওয়া ভবনের ১৫ ফিট উত্তরে অবস্থিত চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদে জুমার নামাজের পর মোনাজাতের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।
এ সময় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমসহ চুড়িহাট্টাবাসী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। জুমার নামাজের মোনাজাতে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের ইমাম বলেন, ‘হে আল্লাহ যারা এ ঘটনায় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন তাদেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। তাদের পরিবারকে শোক সহ্য করে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা দান করুন।’
নামাজ শুরুর আগে এমপি হাজী সেলিম মুখপাত্রের মাধ্যমে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার আদেশ ও অনুরোধ, আপনারা কেউ নিজের বাসায় কেমিক্যালের গোডাউন ভাড়া দেবেন না।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের প্রায় ২০০ কর্মী স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ৬৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় ঢাকা জেলা প্রশাসন। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪১ জন। তাদের মধ্যে দুজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনসহ দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয় তদন্তের জন্য সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অগ্নি অনুবিভাগ) প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রধান করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দোষীদের চিহ্নিত করতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং অগ্নিদুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ প্রদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।