বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৮:০০

মিরপুরে চৈত্রমাসেই হাঁটুপানি, বর্ষায় কী হবে?

মিরপুরে চৈত্রমাসেই হাঁটুপানি, বর্ষায় কী হবে?

ফাহিম বিজয় : চৈত্র মাসের প্রায় শেষ। মাঝে মাঝেই হানা দিচ্ছে কালবৈশাখী। মঙ্গলবার নগরীর আকাশে কয়েক ধাপে হানা দেয় বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে দুপুরে ১৮.০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর তাতেই হাটু পানি জমে যায় মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। আরটিভি

কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, শ্যামলী, রোকেয়া সরণি, মিরপুর ১০, মিরপুর ১১, কালশী, আরামবাগ, ফকিরাপুল, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর সেই সাথে হয় তীব্র যানজট। চরম ভাগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। মিরপুর কাজীপাড়ার বাসিন্দা মেহেতাব খানম বলেন, আমার ছেলে মিরপুর আইডিয়াল কলেজে পড়ে। মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কাজীপাড়া একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়। তখন রাস্তার গর্ত বোঝা যায় না। রিকশা একটু এদিক ওদিক হলেই ময়লা পানিতে পড়ে হাবুডুবু খেতে হয়।

আয়েশা সিদ্দিকা নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা মিরপুর ১১ নম্বরের জলাবদ্ধতার একটি ভিডিও ফেসবুকে আপ করেন। তার ভিডিতে আফসানা চৌধুরী কমেন্ট করেছেন। লিখেছেন আসছে বর্ষাকাল নৌকা নিয়ে হও প্রস্তুত।

মিরপুর ১০ এর আল আমিন কনফেকশনারির মালিক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে এখানে পানি জমে যায়। এই জলাবদ্ধতাকে পুঁজি করে আবার কিছু মানুষ ফায়দাও লুটছে। রিকশা বা ভ্যানে করে পানি পার করে দিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে নিচ্ছে।

তবে এসব জলাবদ্ধতার জন্য ঢাকা ওয়াসাকেই দায়ী করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, মিরপুর ও কালশী এলাকার ৮-৯টি খাল দখল হয়ে গেছে। এসব খালের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এর পরেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই খাল উদ্ধার করতে হবে। খালগুলো নিয়ে আমাকে একটা রিপোর্ট দেয়া হবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা।
সূত্র: আমাদেরসময়.কম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে