নিউজ ডেস্ক: ঢাকা -চট্রগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও নির্জন এলাকায় মহাসড়কের পাশের ঝোপঝাড়ে (ছোট ঘন জঙ্গল) ঘাপটি মেরে বসে থাকে ডাকাতরা। সুযোগ পেলেই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বাসগুলোতে চালায় ডাকাতি। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলোতে প্রায় সময়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ঈদকে সামনে রেখে ডাকাতি রোধে মহাসড়কের পাশের ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করার উদ্যোগী হলেন সোনারগাঁ থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা। এ ঝোপঝাড় পরিস্কার করতে গিয়ে মিলল ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত বিছানা, বেডশিট ও বালিশ। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাত বা ছিনতাইকারীরা রাতে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন ব্রিজের ঢালুতে গড়ে ওঠা ঝোপঝাড়গুলো সহকর্মী ও লোকজন নিয়ে পরিষ্কার করেন সোনারগাঁ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ। পুলিশের এই কর্মকর্তার উদ্যোগে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিতও হয়েছেন।
এসআই আজাদ জানান, এসব ঝোপঝাড় আস্তানা গেড়ে লুকিয়ে থেকে ডাকাতরা। পরে যখন রাতে মহাসড়কে যানজটের আটকা পড়া বাসে ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতের বেলায় বিভিন্ন সময়ে যানজট সৃষ্টি হয়। ওই সময় আটকা পড়া বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মহাসড়কের ঢালু ও ব্রিজের নিচে গড়ে ওঠা ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থেকে ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা বাসের যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাই ফোন ও স্বর্ণালংকারসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটে নেয়। এজন্য সড়ক পথে জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মোগরাপাড়া মেনিখালী ব্রিজের নীচ থেকে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেছি। এতে করে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মেনিখালী ব্রিজের নীচে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত বিছানা, বেডশিট ও বালিশ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাত বা ছিনতাইকারীরা রাতে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলালউদ্দিন জানান, ঈদকে সামনে রেখে মানুষের নিরাপত্তা দিতেই ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে ঝোপঝাড়গুলো পরিষ্কার করা হয়েছে।