রণবীর ঘোষ কিংকর, চান্দিনা (কুমিল্লা): ফুল সবারই ভালো লাগে। আর যদি ফুল বাগানের পাশ ঘেঁষে দীর্ঘ পথ পারি দেওয়া যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চলাচল করা যাত্রীরা এখন প্রতিনিয়ত ফুলের সমারোহে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে যাতায়াত করছেন।
লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আবার কোথাও সাদা ফুলে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বর্ণিল সাজে সেজেছে। চার লেন মহাসড়কের ডিভাইডারের উপর ফুলের বাগানে রয়েছে, রাধাচ ড়া, কাঞ্চন, হৈমন্তী, কুর্চিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। সকল প্রকার ফুল ফুটায় মনে হয় যেন বর্ণিল সাজে সেজেছে মহাসড়ক।
দেশের লাইফ লাইন হিসেবে খ্যাত ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তর করা হয়েছে। আর এক লেনের গাড়ির হেড লাইটের আলো যাতে বিপরীত লেনের গাড়ির উপর না পরে সেই জন্য ডিভাইডারের উপর রোপন করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কোথাও ফুলের বাগান আবার কোথাও সবুজ বৃক্ষের সমারোহ।
মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা অংশের অধিকাংশ স্থানে রোপন করা হয় নানা প্রজাতির ফুল গাছ। আর ওই ফুল গাছগুলোতে এক সাথে ফুল ফুটায় মহাসড়ক যেন ফুল বাগানে রূপ নিয়েছে। ওই ফুল বাগানসহ ডিভাইডার পরিচর্যায় নিয়মিত কাজ করতে দেখা যাচ্ছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের শ্রমিকদের।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ জানান, উন্নত দেশের মহাসড়কের সাথে তাল মিলিয়ে রাতের অন্ধকারে বিপরীতমুখী গাড়ির হেড লাইটের আলো নিয়ন্ত্রণ করে দুর্ঘটনা রোধে এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিভিন্ন গাছের পাশাপাশি ফুল গাছ রোপন সৌন্দর্য্য বর্ধনের প্রচেষ্টা। ডিভাইডারে গাছ পরিচর্যায় আমাদের ৩৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছে।সূত্র: কালের কণ্ঠ