নিউজ ডেস্ক: মিরপুরের দিয়াবাড়ী রোডে উত্তর বিশিল এলাকার ফলপট্টির কাছাকাছি যেতেই নাকে আসছিল আম, কাঁঠালের লোভনীয় ঘ্রাণ। কিন্তু সেখানে গিয়ে ফলের আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেল, অধিকাংশ আমই কেমিক্যাল মেশানো এবং অপরিপক্ক। কিছু আম পচে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছিল। আর পরীক্ষার জন্য কাটা কাঁচা হিমসাগর, গোপালভোগ, লক্ষণভোগ আমের ভেতর দেখা গেল কচি আঁটি। ফলগুলো অপরিপক্ক। কিছু কিছু আমের ভেতরে পোকাও দেখা যায়। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মিরপুর দিয়াবাড়ীর একাধিক ফলের আড়তে র্যাবের বিশেষ অভিযানে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
মিরপুর কৃষি কর্মকর্তার সহায়তায় অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-৪-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজশাহীর হিমসাগর এখন বাজারে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু আড়তদাররা অসাধু ব্যাপারিদের সঙ্গে হাত করে কেমিক্যাল মেশানো অপরিপক্ব হিমসাগর আম বাজারে বিক্রির পাঁয়তারা করছে। দিয়াবাড়ীর এই আমের বাজারে আটটি আড়তে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও অপরিপক্ব গুটি আম পাওয়া গেছে। অনেক পচা আমও পেয়েছি আমরা। এর মধ্যে হিমসাগর ও ল্যাংড়া রাখার কারণে ছয় আড়তদারকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি একই কাজ করে তবে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
অভিযানে অংশ নেওয়া মিরপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার নূরজাহান বলেন, ‘আমরা বেশ ককেয়টি আড়তে গিয়ে যা দেখলাম তাতে বোঝা যাচ্ছে বিপুল অপরিপক্ব আম বাজারে চলে এসেছে। এগুলো কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। যা সবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কয়েকজন মালিক কেমিক্যাল দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে তারা বলছে ব্যাপারিরা কেমিক্যাল মেশাচ্ছে।’