বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯, ১১:২১:১০

দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধনের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা

দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধনের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) : দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধনের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। আগে বুধবার আর বৃহস্পতিবার এই সড়কের নাম শুনলেই যানজট আর ভোগান্তির কথা মনে পড়তো। এখন সেই মহাসড়কের নেই আগের মতো যানজট। নেই আর হকারের কোলাহল। মুক্ত বিহঙ্গের মতো চলছে যানবাহন।

এদিকে আজ বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, দুটি নতুন সেতু উদ্বোধনের পর মহাসড়কের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। যাত্রীদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। এ সড়কে যেখানে সপ্তাহে ৪/৫ দিন যানজট ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী সেখানে এ সেতু উদ্বোধনের পর সকল ভয় কেটে গিয়ে স্বস্তি আর শান্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা। আগে মহাসড়কের চার লেন দিয়ে যাহবাহনগুলো এক লেন হয়ে সেতু দিয়ে পার হওয়ার কারণে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকতো। বর্তমানে চার লেনের সেতু উদ্বোধনের পর যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার ফলে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে এ মহাসড়কে আর কোনো যানজটে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় না।

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের চালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, চারলেনের সেতু চালু হওয়ার ফলে আমাদের ও যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তির ছায়া ফিরেছে। আগে এ সড়কে যানজটের কারণে যাত্রীদের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। কারণ প্রতিদিন একবার ঢাকা যেতে পারতাম। তবে এ সেতু দুটি উদ্বোধনের পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। আগে যেখানে ৭/৮ ঘণ্টা সময় লাগতো এখন মাত্র দেড় ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাতে পারি। যানজট না থাকায় যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে, আমাদের ট্রিপও বেড়েছে।

মতলব পরিবহনের যাত্রী আবদুল খালেক বলেন, এ সড়কে যানজটের কারণেই আমরা ঢাকা থেকে অফিস করেছি। বর্তমানে চার লেনের সেতু দুটি চালু হওয়ায় বিশেষ করে ঢাকার পাশের জেলার আমরা যারা যাত্রী আছি আমাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসছে। যেখানে ঢাকা যেতে ৫/৬ ঘণ্টা সময় লাগে সেখানে মাত্র ৪৫ মিনিটে দাউদকান্দিতে আসতে পারছি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে