দীপা ঘোষ : মা, আমাগো কতাগুলো শেখ হাসিনারে বইলো, উনি যে রিকশা চলাচল বন্ধ কইরা আমাগো প্যাটে লাত্থি মারল আমরা বাঁচুম ক্যামনে? খামু ক্যামনে? এই কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সত্তুরোর্ধ আব্দুল মজিদ মিয়া। তিনি গত ৩০ বছর ধরে ঢাকা শহরে রিকশা চালান।
আজ সোমবার মানিকনগর বিশ্বরোডের মোড়ে তিন রাস্তায় রিকশা বন্ধ করার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে রিকশা চালকরা। এসময় আব্দুল মজিদ মিয়ার মতো প্রায় পাঁচ শতাধিক রিকশা চালক সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
রিকশা চালকরা জানান, যতক্ষণ তাদের দাবি পূরন না হবে তারা রাস্তা ছাড়বেন না। অন্য রিকশা চালকেরা বলেন, আমরা রিকশা চালানো ছাড়া আর কোন কাজ জানিনা। আমরা ঢাকাতে রিকশা চালাই। এই টাকা বাড়িতে পাঠাই। সেই টাকা দিয়ে আমাদের বয়ষ্ক বাবা-মায়ের দেখাশোনা করি। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাই। আমাদেরকে কাজ করতে না দিলে আমরা কিভাবে বাঁচবো?
এসময় রাস্তার পাশে পুলিশ নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে। রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে, তারাও রিকশা চলার ব্যাপারে সংহতি প্রকাশ করেন। পথচারি শাহনাজ বেগম বলেন, আমরা তো জমিদার না। আমাদের গাড়ি কেনার সামর্থ্য নেই। বড়লোকদের এক পরিবারে তিন-চারটা গাড়ি আছে। রিকশা বন্ধ করে দিলে আমরা চলব কিভাবে?
আরেক পথচারি সুজন মিয়া বলেন, রিকশা বন্ধ করায় রিকশাওয়ালা আর রিকশা যাত্রীর উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ। রিকশা বন্ধের ঘোষণা এলো কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণ কিভাবে চলাচল করবো কেউ ভাবল না। সম্পাদনা : মুসবা তিন্নি
সূত্র: আমাদেরসময়.কম