শুক্রবার, ০২ আগস্ট, ২০১৯, ১২:৪৯:২০

একপক্ষীয় প্রেম; মগবাজারে বিয়ের আসরে ঢুকে কনের বাবাকে কু'পিয়ে হ'ত্যা!

একপক্ষীয় প্রেম; মগবাজারে বিয়ের আসরে ঢুকে কনের বাবাকে কু'পিয়ে হ'ত্যা!

ঢাকা : রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডে বিয়ের আসরে কনের বাবাকে কু'পিয়ে হ'ত্যা করেছে সজীব আহমেদ রকি নামে এক যুবক। তার ছু'রিকাঘা'তে আহ'ত হয়েছেন কনের মাও। স্থানীয় জনতা ওই যুবককে গণধো'লাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কনের বাবার নাম তুলা মিয়া (৫৫)। ছু'রিকাঘা'তে আহ'ত মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযুক্ত সজীবের বাবার নাম আব্দুল বারেক। বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পাঁচগাছিয়া গ্রামে। সে দিলু রোডের বাটার গলির একটি মেসে থাকতো। কাজ করতো মগবাজারের এক গ্যারেজে।

ওসি আবদুর রশিদ বলেন, ‘বিয়ের আসরে কনের বাবা-মাকে ধারালো অ'স্ত্র দিয়ে কো'পায় সজীব। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ইনসাফ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা'রা যান বাবা তুলা মিয়া। পরে মাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘাতক সজীবকে গণধো'লাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।’

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্রিয়াংকা কমিউনিটির পাশে চার-পাঁচটা টিনশেড বাড়ি রয়েছে। তার একটিতে সপরিবার থাকতেন তুলা মিয়া। তিনি এসব বাড়িঘর দেখাশোনা করতেন। এসব বাড়ির বাসিন্দারা জানান, যে মেয়েটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, সে ফিরোজার আগের ঘরের সন্তান।

সুনীল কুমার বিশ্বাস নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টারের দোতলায় কনেকে সাজানো হচ্ছিল। সেসময় সজীব আসে। ভেতরে ঢুকেই সে রান্নাঘরে তুলা মিয়াকে দেখতে পায়। 

তুলা মিয়া তখন সজীবকে বলে, তুমি এখানে কেন? কথা কাটাকাটির একপর্যায়ের তুলা মিয়াকে সজীব তার সঙ্গে থাকা ছু'রি বের করে আঘা'ত করে। তার চিৎকারে ফিরোজা এগিয়ে আসেন। তখন সজীব ফিরোজাকেও ছু'রিকাঘা'ত করে।

সুনীল কুমার জানান, এরই মধ্যে লোকজন এগিয়ে আসে। সজীবকে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। পারভীন সুলতানা জানান, ঘটনার সময় স্বপ্নাকে তিনি কমিউনিটি সেন্টারের ২ তলায় মেকআপ করাচ্ছিলেন। চিৎকার শুনে তিনি ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেন।

তিনি বলেন, ‘সজীব ঝামেলা করতে পারে এ কথা কনের মা ফিরোজা আমাকে আগেই বলেছিলেন।’ পরে যখন তিনি দরজা খোলেন, তখন দেখতে পান আহত তুলা মিয়া ও ফিরোজাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

ওসি মো. আবদুর রশিদ বলেন, এটা হতে পারে একপক্ষীয় ভালোবাসা। সজীব মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাইতো। তবে মেয়ের পরিবারের মত ছিল না। মেয়েটির বিয়ে হচ্ছে খবর পেয়ে সজীব এসে হা'মলা চালায়। এ ঘটনায় মা'মলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে