নিউজ ডেস্ক : সপ্তাহ খানেক আগে ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন আবরার ফাহাদ। তবে বাড়িতে এসে পড়ালেখা ঠিক মত না হওয়ায় আগেভাগেই ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন আবরার। এরপর ঢাকায় পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত ফোনে চারবার মায়ের সঙ্গে কথা হয় আবরারের। পরে বিকেলের দিকে বুয়েটের হলে পৌঁছেও মাকে ফোন দিয়ে জানান বিষয়টি। মোবাইলে এটিই মায়ের সঙ্গে তার শেষ কথা। এরপর সারারাত ফোন দিয়েও ছেলের খবর না পেয়ে বিচলিত হয়ে উঠেন মা রোকেয়া। সকালে উঠে খবর পান ছেলে আর বেঁচে নেই।
ছেলেকে হারিয়ে এখন আবরারের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বাড়ির পাশেই আবরারদের বাসা। এখন তাদের বাড়িজুড়ে আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতিদের ভিড়। ছেলের শোকে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন রোকেয়া খাতুন।
আবরারদের গ্রমের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাবা বরকতুল্লাহ বেসরকারি সংস্থা ব্রাকের কর্মকর্তা। মা স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনে পড়ান।
পরিবার জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ছোট বেলা থেকেই মেধাবী। লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতো সারাদিন। আর বাড়ি থেকে ফেরার দিনই তাকে এভাবে কেউ হ'ত্যা করতে পারে তা ভাবতেও পারেননি পরিবারের লোকজন।
আবরারের চাচা মিজানুর রহমান বলেন, 'সে শিবিরের কর্মী নয়। অথচ এমন কথা রটাচ্ছে সবাই। এটা বানোয়াট, আমরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। হানিফ সাহেবের বিভিন্ন মিটিংয়েও আমরা যাই। আবরার এমনিতে তাবলীগে যেত। বুয়েটে ভর্তির পর দুই–তিনবার সে তাবলীগে গিয়েছিল।'