নিউজ ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য রুহুল আমিনের সাধারণ পরিবারটি হঠাৎ করেই গ্রামবাসীর কাছে বেশ সমালোচিত হয়ে উঠেছে। চায়ের দোকান থেকে বিভিন্ন আড্ডাস্থলে এখন আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে এই পরিবার। গত ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নি'র্মমভাবে পি'টিয়ে হ’ত্যার ঘটনার প্রধান আসামি এই পরিবারেরই সন্তান মেহেদি হাসান। এ বিষয়টিই এসব আলোচনায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
মেহেদি হাসানের পিতা রুহুল আমিনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, টিভি ও পত্রপত্রিকার মাধ্যমে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পি'টিয়ে হ’ত্যার খবর দেখেছেন। তবে তিনি দাবি করেন তার ছেলে এমন কাজ করতে পারেন না। এবং ঘটনার সময় তার ছেলে সেখানে ছিলেনও না। রুহুল আমিন বলেন, সারাজীবন বাইরে বাইরে চাকরি করে অনেক কষ্টে ছেলেকে মানুষ করে পড়াশুনা করতে বুয়েটে পাঠিয়েছে। সে এমন কাজ করতে পারে না।
আবরার ফাহাদ হ’ত্যাকা'ন্ডের পর ফাঁস হওয়া শেরে বাংলা হলের নিচতলার সিসি টিভির ফুটেজে মেহেদি হাসান রাসেলকে দেখা গেছে আবরার মৃ'তদে'হকে সামনে রেখে হলের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলতে। আজ বৃহস্পতিবার অবশ্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান ছাত্রদের সামনে স্বীকার করেন, ওই মুহুর্তে আবরারের মৃ'তদে'হ সেখান থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য তাকে সেখানে উপস্থিত ছাত্রনেতারা চাপ দেন।
তবে সিসি টিভির ফুটেজে নিজের সন্তানকে দেখা যায়নি বলে দাবি করেন মেহেদি হাসান রাসেলের মা ঝর্ণা আমান। তিনি বলেন, আমার সোনা এই হ’ত্যার সাথে জড়িত নয়। আমার ছেলে এমন নৃশংস খু'নি হতে পারে না। তাকে সিসিটিভির ফুটেজেও দেখা যায়নি। ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এই প্রতিবাদ জানাই। তার নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করা হোক।