নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পি'টি'য়ে হ'ত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মুহতাসিম ফুয়াদ। এই ঘটনায় দায়ের করা হ'ত্যা মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে তাকে। এই নৃ'শং'স হ'ত্যাকা'ণ্ডে ছেলের স'ম্পৃ'ক্ততার অভিযোগে মুষ'ড়ে পড়েছেন ফুয়াদের পরিবারের সদস্যরা। চু'রমা'র হয়ে গেছে তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন।
একটি মেধাবী ছেলের এরকম বী'ভৎ'স হ'ত্যাকা'ণ্ডে জড়িত থাকার খবরে বিস্ম'য় প্রকাশ করেছেন ফুয়াদের গ্রামের বাড়ি ফেনীর নাঙ্গলমোড়ার মানুষ। মুহতাসিম ফুয়াদ বুয়েটের ১৪তম ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদে ছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহি'ষ্কার করা হয়েছে। তার গ্রামে বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নাঙ্গলমোড়া গ্রামে।
গতকাল বুধবার বিকালে মুহতাসিম ফুয়াদের গ্রামের বাড়িতে এক প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য সরোয়ার মাহমুদ শামীমের। তিনি বলেন, ‘মুহতাসিম ফুয়াদের বাবা আবু তাহের সেনাবাহিনীতে মেডিক্যাল কোরে চাকরি করতেন। অবসরে যাওয়ার পরও দুই সন্তানের পড়াশোনার ব্যয় বহন করতে তিনি এখন সেনা কল্যাণ সংস্থার ঢাকা অফিসে চাকরি করছেন। পরিবার নিয়ে ঢাকায়ই থাকেন। বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রাম সেনানিবাস স্কুল ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ নিয়ে পাস করে মুহতাসিম ফুয়াদ। আবরার হ'ত্যায় ফুয়াদ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মুষ'ড়ে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন ভে'ঙে চু'রমা'র হয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এফএম আজিজুল হক মানিক বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারি না এমন মেধাবী একটা ছেলে আরেকজন মেধাবীকে পি'টি'য়ে হ'ত্যার মতো লো'মহর্ষ'ক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী এটি কোনোভাবে মানতেই পারছি না। আমার এলাকার লোকজন তাকে ভালো ছেলে হিসেবেই জানে। তার বাবা আবু তাহের হোসেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। ফুয়াদরা দুই ভাই বোন। সে বড়। সহজ-সরল প্রকৃতির আবু তাহের তার ছেলে ফুয়াদকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন ভে'স্তে গেছে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফুয়াদের বাবা আবু তাহের মোবাইল ফোনে বলেন, ‘তাকে নিয়ে আমার অনেক আশা-ভরসা ছিল। সব ধু'লোয় মি'শে গেছে।’