নিউজ ডেস্ক : শিবির সংশ্লিষ্টতার দোহাই দিয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পি'টিয়ে হ'ত্যার অভিযোগে প্রথমিকভাবে যে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩ ও ৪নং আসামি রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। দুজনেই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা ও ২০১৫ ব্যাচের ছাত্র। উভয় পরিবার তাদের সন্তানদের এমন কৃতকর্মে হতাশ। সন্তানেরা যদি সত্যিই দোষী হয় তবে তার ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
৩নং আসামি অনিক সরকারের (২২) রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী আনোয়ার সরকারের দুই সন্তানের বড় ছেলে এবং ৪নং আসামি মেহেদী হাসান রবিন (২২) পবা উপজেলার পূর্ব কাপাসিয়া এলাকার স্কুল শিক্ষক মাকসুদ আলীর একমাত্র ছেলে। মেহেদী হাসান রবিন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অনিক সরকার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ছিলেন এবং দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে-বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র।
রবিনের বাড়ি পূর্ব কাপাশিয়া এলাকায় গিয়ে জানা যায়, রবিনের স্কুল শিক্ষক বাবা মাকসুদ আলী বর্তমানে ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা। রবিনের বাবা মাকসুদ আলী জানান, আমি সন্তানের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত।
অনিকের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেরার বড়ইকুড়ি এলাকায় গিয়ে জানা যায়, অনিকের বাবা আনোয়ার হোসেন সরকার এলাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট অনিক। নৃ'শংস এই হ'ত্যাকা'ণ্ডে পুরো দেশের মতো হতবাক অনিকের পরিবারো। ছেলের পক্ষে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে কোন প্রক্রিয়ায় তারা আগাবেন তা বুঝে উঠতে পারছে না বিধায়, এখন পর্যন্ত উকিল নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অনিকের পরিবার।
হতাশ হণ্ঠে অনিকের বাবা জানান, ‘কারো সন্তান যেনো এমন না হয়; এমনটা না করে। আমি আশা করব অনিকের মতো আর কেউ যেনো ভুল পথে না যায়’।
তিনি বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ছেলে অ'পরাধী হলে প্রচলিত আইনে তার যে সাজা হবে আমি মেনে নেবো। আমি চাই আমার ছেলের বিচার হোক। আমি চাই প্রচলিত আইনে অনিকের বিচার হোক।’