শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৩৮:৪৪

টিউশনি করে বুয়েটে পড়ছিলেন আবরার হ'ত্যার আসামি শামীম, বাবা বাসের ড্রাইভার

টিউশনি করে বুয়েটে পড়ছিলেন আবরার হ'ত্যার আসামি শামীম, বাবা বাসের ড্রাইভার

সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হ'ত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৪ নম্বর আসামি শামীম বিল্লাহর বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। তিনি উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ইছাকুড় গ্রামের আমিনুর রহমান বাবলুর বড় ছেলে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাকে ভুরুলিয়ার খানপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

ছাত্রলীগ নেতা শামীম বিল্লাহ বুয়েটের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা আবাসিক হলের ২০০৪ কক্ষে থাকতেন।

ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য সবুর কাগুজি বলেন, পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও শামীম বুয়েটে গিয়ে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ছোট বেলা থেকেই তিনি মেধাবী ও শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। তার বাবা আমিনুর রহমান বাবলু ঢাকা-কালীগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী বাস রোজিনা পরিবহনের ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করেন।

তিনি আরও জানান, শামীমের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। সবমিলিয়ে পাঁচ বিঘা জমি রয়েছে তাদের। তবে শামীম ছোট বেলা থেকেই ছিল খুব মেধাবী। এসএসসি ও এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাবা রোজিনা পরিবহনের চালক। তারা দুই ভাই বোন। শামীম বুয়েটে পড়েন আর ছোট বোন শারমিন আক্তার শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

ইউপি সদস্য সবুর কাগুজি বলেন, শামীম ঢাকায় দুটি টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজেই চালাতেন। সপ্তাহ খানেক আগে প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়ে একটি মোটরসাইকেল কিনেছেন। ছোট বেলা থেকে খুব শান্ত প্রকৃতির ছিলেন শামীম। কখনো কারও সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে বলে শুনিনি। তার পরিবার রাজনীতির সঙ্গে সেভাবে জড়িত না থাকলেও শামীম বুয়েটে গিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

এদিকে শামীম গ্রেফতারের পর তা মা সালিমা খাতুন অচেতন হয়ে পড়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে বাবা আমিনুর রহমান বাবলু বাড়িতে নেই। তার ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

শ্যামনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আনিসুর রহমান বলেন, বিকেলে শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের খানপুর গ্রাম থেকে আবরার হ'ত্যা মামলার আসামি শামীম বিল্লাহকে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে। আটকের পর তারা তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছেন। অভিযানের সময় শ্যামনগর থানা পুলিশ তাদের সঙ্গে ছিল না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে