নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ'ত্যার ঘটনায় নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। শিবির সন্দে'হে যখন আবরারকে মা'রধ'র করা হচ্ছিল, তখন তিনি বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
একপর্যায়ে আবরার বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমাকে মা'রছ কেন? এরপর মা'রধ'রের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে নিজের প্রাণ বাঁ'চাতে আবরার বুয়েটের শেরেবাংলা হলের কয়েকজন ছাত্রের নাম জানিয়ে বলেন, ওরা শিবিরকর্মী হতে পারে। ওই নামগুলো জানার পর হামলাকারীরা তাৎক্ষণিক তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, তারা শিবিরকর্মী নয়। তখন ‘মিথ্যা’ বলার অপরাধে ফের আবরারকে নির্যা'তন করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞা'সাবাদ ও স্বীকারো'ক্তিমূলক জবানবন্দির সূত্র ধরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পেটা'নোর সময় আবরার বারবার শিবির সংশ্নিষ্টতা অস্বীকার করছিলেন। এ সময় হামলাকারীরা বলতে থাকে, ‘শিবির না হলে তোর ফেসবুকে এ ধরনের স্ট্যাটাস কেন।’ নির্যা'তনের সময় বেশ কয়েকবার ফ্লোরে শুয়ে পড়েন আবরার। তখন আবার তুলে মা'রধ'র করা হয়। কেউ কেউ তখন মুখ ভেংচি কেটে বলছিল, ‘ও ঢং ধরেছে। ওষুধ পড়লে ঠিক হয়ে যাবে।’ নির্যা'তন স'হ্য করতে না পেরে কয়েকবার বমিও করেন আবরার।
এদের মধ্যে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকার আবরারকে বে'ধড়'ক মা'রধ'র করে। হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে স্টাম্প দিয়ে দেড় শতাধিক আঘা'ত করে সে। এতে ভে'ঙে যায় স্টাম্প। পরে মশারি টানানোর লোহার রড দিয়ে মা'রা হয়। অনিক মা'রতে মা'রতে ক্লা'ন্ত হয়ে পড়লে নতুনভাবে মা'রধ'র শুরু করে আরেকজন।
এভাবে একের পর এক মা'রতে মা'রতে শেষ পর্যন্ত মৃ'ত্যুর কোলে ঢ'লে পড়ে আবরার।
এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হ'ত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ পর্যন্ত ১৬ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।