বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ০৯:০৯:৩৩

৩০ মিনিটের কাজ ৫ দিনে!

৩০ মিনিটের কাজ ৫ দিনে!

আসিফ নজরুল: ৩০ মিনিটের কাজ ৫ দিনে! আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছি। কতো বছর ধরে, কি পজিশনে, এখন বেতন কতো এটা উল্লেখ করে একটা সনদ দরকার। এই সনদ বের করতে হলে কতো দিন লাগে জানেন? প্রায় পাঁচ দিন। কপাল খারাপ থাকলে আরো বেশি দিন। কারণ, এই মর্মে আমার আবেদনটিকে পার হতে হয় ১৪টি ধাপ।
ধাপগুলো এমন: বিভাগীয় চেয়ারম্যান- রেজিস্ট্রার (নোট লেখার জন্য পাঠাবেন)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার- অফিস সহকারী (তার লেখা নোট ফিরতি পদে যাবে)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার-রেজিস্ট্রার

এরপর এই অতি সামান্য জিনিস পাঠাতে হবে ভিসির কাছে। তিনি অনুমোদন দেয়ার পর ফাইলের পুনরায় যাত্রা-রেজিস্ট্রার (এবার সনদটি লেখার জন্য পাঠাবেন)- ডেপুটি রেজিস্ট্রার-অফিস সহকারী- এরপর আবার সনদে স্বাক্ষরের জন্য ডেপুটি রেজিস্ট্রার-রেজিস্ট্রার।

রেজিস্ট্রার চিঠি স্বাক্ষরের পর তা যাবে ডেসপ্যাচ সেকশনে। সেখানে তা যাবে নির্দিষ্ট পিওনের কাছে। তিনি বেলা এগারটার পরে এ চিঠি পান তাহলে আমি তা পাবো পরদিন সকালে। এ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল। অথচ আমার সরাসরি আবেদন পৌঁছানোর পর ডিজিটালি তথ্য ব্যবহার করে রেজিস্ট্রারের একজন কর্মচারী এটা তৈরি করে তার স্বাক্ষর নিলে মোট সময় লাগার কথা বড় জোর ৩০ মিনিট।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে