ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হ'ত্যা মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহার ফের তিন দিনের রিমা'ন্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ পাঁচ দিনের রিমা'ন্ড শেষে ফের এ রিমা'ন্ডের আদেশ দেন। অমিতের ফের রিমা'ন্ড শুনানির আগে তাকে কাঠগড়ায় কাঁদতে দেখা যায়। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘আমিও একজন মানুষ’ বলে জবাব দেন।
এদিকে অমিতের সঙ্গে গত ১১ অক্টোবর পাঁচ দিনের রিমা'ন্ডে যাওয়া আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহার ফের রিমা'ন্ড আবেদন না থাকায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন একই আদালত।
অমিতের ফের রিমা'ন্ড আবেদনে বলা হয়, অমিত সাহা ঘটনার পরিকল্পনার সঙ্গে স'রাস'রি জড়িত। অন্য আসামিরা যে স্বীকা'রোক্তি দিয়েছেন সেখানে তার নাম এসেছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে, অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে জন্য এ আসামির ফের সাত দিনের রিমা'ন্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।
রিমা'ন্ড শুনানিকালে অমিত সাহার পক্ষে অ্যাডকোকেট মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করে বলেন, ‘অমিত সাহা সম্পূর্ণ নির্দোষ। এজাহারে তার নাম নেই, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। তিনি পূজার ছুটিতে বাড়িতে ছিলেন। ফেসবুকে কিছু বন্ধুর উস'কানি'মূলক লেখার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন ঘটনাস্থলে অমিত সাহা উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে তাকে পাঁচ দিনের রিমা'ন্ডে নিয়ে জিজ্ঞা'সাবাদ করা হয়েছে। তাই রিমা'ন্ড নামঞ্জুর করে জামিন মঞ্জুর করা প্রয়োজন।’
রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের জিআরও এসআই মাজহারুল ইসলাম জামিন আবেদনের বিরোধীতা করেন। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট আইয়ুব হোসেন আসামি তোহা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন মর্মে জামিন আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অমিত সাহার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর তোহার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রিমান্ড শুনানির আগে অমিত সাহা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি সেখানে ছিলাম না। রাত দেড়টায় খবর পাই। মিথাভাবে ফেঁ'সে গেলাম।’ এরপর তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। কেন কাঁদছেন এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমিও একজন মানুষ’।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর তোহা ও অমিতের পাঁচ দিনের রিমা'ন্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অমিত বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আর তোহা ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।