ঢাকা : বুধবার বিকেল তিনটায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের (প'ঙ্গু হাসপাতাল) বেডে শুয়ে বিলা'প করতে করতে অগোছালোভাবে বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভ'য়াব'হ ট্রেন দু'র্ঘ'টনায় নি'হ'ত ফারজানা আক্তারের (১৬) মা রোজিনা বেগম (৪৫)।
তিনি বলেন, ক্যামনে কি হইলো কিছুই বুঝলাম না! সবাই মিলা এক সঙ্গে গেলাম আর এখন মাইয়াটা নাই হইয়া গেলো। আর অন্য সবাই হাসপাতালে কা'তরা'ইতেছে। ১২টার দিকে সবাই ট্রেনে (উদয়ন) উঠলাম। এরপর সবাই গল্প করতে করতে অনেকে ঘুমাইয়া পড়ে।
রোজিনা বেগম বলেন, আমরা চুপচাপ বইসা রইছি। রাইত তিনটার দিকে ট্রেনে একটা ধা'ক্কা লাগলো এরপর সব অন্ধকার। খালি চিল্লাচিল্লির আওয়াজ আর র'ক্ত আর র'ক্ত। আমি খালি পোলা মাইয়া গুলারে খুঁজ'তেছিলাম। পরে পাইলাম কিন্তু দেখলাম মাইয়াটা আধা ম'রা! কইলো মা আমারে বাঁ'চাও। এরপর আর কিচ্ছু মনে নাই। কারে কই নিয়া গেলো।
ঘটনার দুদিন আগে সিলেট শ্রীমঙ্গলে খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলো ফারজানা আক্তার (১৫)। সঙ্গে পরিবারের আরও আট সদস্য। এক সঙ্গে গেলেও তাদের সঙ্গে আর ফেরা হয়নি ফারজানার। চাঁদপুরের উত্তর বানিয়া ইউনিয়নের বানিয়া গ্রামে ফিরেছে তার নি'থ'র দে'হ।