নিউজ ডেস্ক: র্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, ভবঘুরে মজনু তার মতোই থাকা মা'নসি'ক প্র'তিব'ন্ধী ও ভি'ক্ষুকদের টা'র্গেট করত। কুর্মিটোলার ঘটনাস্থলে সে একই অপ'ক'র্ম আগে করেছে। কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের সঙ্গে সে অ'পরা'ধ না করায় আগে তা ধ'রা পড়েনি। বি'কৃ'ত মানসিকতার এই যুবক অনিরাপদ জীবনের কারণে সং'ক্র'মণ রো'গসহ বিভিন্ন অ'সুস্থ'তায়ও ভুগছে। এ কারণে ধ'র্ষি'ত তরুণীর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন র্যাবের একাধিক সূত্র।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক বন্ধন বি'চ্ছি'ন্ন থাকা এবং ছোটবেলা থেকে অ'পরা'ধ করে বেড়ানোর কারণে বি'কৃ'ত মানসিকতা লালন করছিল মজনু। রেললাইনের বস্তিতে এমন অনেক মজনু আছে। এদের মাধ্যমেও ধ'র্ষ'ণের মতো অ'পরা'ধ সং'ঘটিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
র্যাবের গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, “মজনু তার ভাষায় ‘পা'গ'লিদের’ আ'টকে রেখে ধ'র্ষ'ণ করত। এ কারণেই এত দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটা অ'পরা'ধী মান'সিকতার প্রকাশ। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে মা'দকা'স'ক্তি ও ছি'নতা'ইয়ের মতো কাজ করায় সে নি'র্দ'য় মানসিকতার বলে মনে হচ্ছে।”
একটি সূত্র জানায়, ‘ফুটপাতে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মা'দ'ক গ্রহণের কারণে সং'ক্র'ম'ণ ব্যা'ধিসহ তার শরীরে রোগের আলামত পাওয়া গেছে। ঘটনার দিনও সে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিজের চিকিৎসায় যায়। তার দ্বা'রা আ'ক্রা'ন্ত হওয়ায় ছাত্রীর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ধ'র্ষ'ণের শি'কা'র হন। একপর্যায়ে তিনি অ'জ্ঞা'ন হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে যখন তাঁর জ্ঞা'ন ফেরে, তখন সেখান থেকে তিনি বান্ধবীর বাসায় গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন। পরে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মা'মলা দায়ের করেন তাঁর বাবা।