নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধ'র্ষ'ণের ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেফ'তার ‘সি'রিয়াল রেপি'স্ট’ মজনুকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আদালতে স্বী'কারো'ক্তিমূলক জবানব'ন্দি দেন মজনু।
তদ'ন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তার জবানব'ন্দি রেক'র্ড করেন। জবানব'ন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
এরপর আদালত থেকে তাকে হাজ'তখানায় নেয়ার পথে ছবি তুলতে যান ফটো সাংবাদিকরা। এতে ক্ষে'পে যান মজনু। সাংবাদিকদের অ'শ্লী'ল ভাষায় গা'লিগা'লা'জ করেন তিনি। সাংবাদিকরা কেন তার ছবি তুলছে এ প্রশ্ন তুলে বেশ কয়েকবার গা'লি দেন তিনি!
গত ৫ জানুয়ারি (রোববার) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা নামার পর তাকে ফুটপাতের ঝো'পে নিয়ে ধ'র্ষ'ণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে জ্ঞা'ন ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞা'ত ব্যক্তিকে আসা'মি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদ'ন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।র্যাব জানিয়েছে, ‘গ্রেফ'তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞা'সাবাদে মজনু নিজেই স্বী'কার করেন তিনি একজন সিরি'য়াল রে'পি'স্ট।’গ্রেফতার মজনুকে নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, ‘মজনু মাদ'কাস'ক্ত। তার বাড়ি হাতিয়ায়। তিনি এর আগেও ওই একই এলাকায় ভিক্ষু'ক ও প্রতিব'ন্ধী নারীকে ধ'র্ষ'ণ করেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যেদিন ধ'র্ষণের শি'কা'র হয়েছিলেন সেদিনের ঘটনায় র্যাব জানায়, ‘সেদিন মজনু অসু'স্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে দেখেন ও তাকে ধ'র্ষণের জন্য টা'র্গেট করেন।’
র্যাব আরও জানায়, ‘কয়েক বছর আগে মজনু বিয়ে করেছিলেন, তার স্ত্রী মা'রা গেছেন। পেশায় হ'কার মজনু চু'রি-ছিন'তাইয়ের সঙ্গেও জ'ড়িত।’