নিউজ ডেস্ক : মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজারের রহিম বেপারী ঘাটে নির্বাচন পরবর্তী হা'মলায় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট নিহ'ত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহ'তের নাম মো. সুমন সিকদার (২৫)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সুমন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ হাসান-নূর ইসলাম রাষ্টনের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। একদল মু'খোশ'ধারীর হা'মলায় তিনি নিহ'ত হন।
মোহাম্মদপুর থানার এসআই হারুনুর রশিদ জানান, সুমন সিকদারের বাবার নাম আনোয়ার আহমেদ সিকদার। তার বাসা ৪/২ ব্লক এফ লালমাটিয়ায়। লালমাটিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ছিলেন তিনি।
ফলাফলের পর দুই পক্ষের মা'রামা'রিতে তিনি নিহ'ত হন। লা'শ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ম'র্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহ'ত হন। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহ'ত সুমনের বন্ধু মো. সাজ্জাদ বলেন, আমি সুমন, রুবেল, আলামিন, ইমরান মেসি ও ইমরানসহ ৬ জন রহিম ব্যাপারী ঘাটে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। হঠাৎ অর্ধশত যুবক এসে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের নেতা শাহ আলম জীবনের লোক কে কে আছে, বলে এলোপাতাড়ি কো'পাতে থাকে। এতে সুমন আহ'ত হলে আমরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিলে ডাক্তার তাকে মৃ'ত ঘোষণা করেন। কি কারণে আমার বন্ধুকে এভাবে হ'ত্যা করল আমরা জানি না। হা'মলা করার সময় সবার মুখে মাস্ক পরা থাকায় কাউকে চিনতে পারিনি।
বন্ধু আরো জানান, সুমনের আগামীকাল সীমান্ত স্কায়ারে একটি ফাস্টফুডের দোকানে কাজ করার কথা ছিল। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল সুমন। বাবা আনোয়ার আহমেদ শিকদার গাড়ি চালায়। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রামগাতীতে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা. প্রবাহ বিশ্বাস বলেন, আমাদের এখানে আনার আগেই তার মৃ'ত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি তার বুকের ডান পাশে ধারাল অ'স্ত্রের আ'ঘা'তে তার মৃ'ত্যু হয়েছে। এছাড়া তার পেটে, পায়ে ও পিঠসহ শরীরে বেশ জায়গায় স্ট্যাপ ইনজু'রি আছে।