নিউজ ডেস্ক : কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রুহুল কবীর রিজভীসহ দলের নেতাকর্মীরাহরতাল সফল করতে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে দলটির শতাধিক নেতাকর্মী রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে দলের নেতাকর্মীদের আধা ঘণ্টার মধ্যে সেখান থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেন মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদুল ইসলাম। তখন রিজভী পুলিশের কাছ থেকে ১০ মিনিট সময় চান। কিন্তু দুপুরে খাবার ও নামাজের কথা বলে ৭ মিনিটের মধ্যে কর্মসূচি শেষ করেন তিনি। রিজভীর এমন আচরণে দলের নেতাকর্মী, উপস্থিত পুলিশ ও সাংবাদিক মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
উপস্থিতি বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, দলের সিনিয়র হয়ে রিজভীর এমন আচরণ দুঃ'খজনক। যেখানে পুলিশ আধা ঘণ্টা সময় দিচ্ছে, তখন তার ১০ মিনিট সময় চাওয়ার কারণ কী? আবার ১০ মিনিট সময় নিয়ে ৭ মিনিটে কেন কর্মসূচি শেষ করতে হবে? তার কোনও সমস্যা থাকলে চলে যেতে পারতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সম্পাদকমন্ডলীর নেতা বলেন, একে তো হরতাল দিয়ে রাস্তায় নামতে পারিনি, এ নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করছে। তার ওপর রিজভী সাহেবের এমন আচরণ বিএনপিকে নিয়ে মানুষের হাসার আরেকটি উপাদান হয়ে দাঁড়াবে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুটপাতে থেকে সরে যাওয়া নির্দেশ দিয়ে মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি এমন ক্ষুদ্র কর্মসূচি পরে সং'হিতায় রূপ নেয়। তাদের পূর্ব নির্ধারিত কোনও কর্মসূচি আছে কিনা জানতে চাইলে, সুনির্দিষ্ট কোনও জবাব তারা দিতে পারেনি। যেহেতু তাদের কোনও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নেই, তাই আমরা তাদের আধা ঘণ্টা সময় দিয়েছি চলে যাওয়ার জন্য। তারাও বলেছে দ্রুত চলে যাবে।’
অবস্থান কর্মসূচি শেষ করার সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে যে ভোট জালিয়াতি হয়ে গেলো তার প্রতিবাদ জানাতেই আমাদের এই কর্মসূচি। এদেশের ১৬ কোটি মানুষের জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সরকার আটকে রেখেছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই অন্যায়ের দুই বছর পূর্ণ হবে। আমরা এরও প্রতিবাদ করছি।’