নিউজ ডেস্ক : সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই, তবুও স্বল্প সময়ে বিপুল সম্পত্তি ও অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া। রাজধানীর ফার্মগেটের ২৮ ইন্দিরা রোডে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও ব্যক্তিগত গাড়ি, নরসিংদী শহরে দুটি ফ্ল্যাট এবং বাগদী এলাকায় দুই কোটি টাকা মূল্যের দুটি প্লটও রয়েছে তার।
র্যাপিড অ্যা'কশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) দাবি, অ'বৈ'ধ প'ন্থায় এসব বিত্ত-বৈভবের মালিক হন শামীমা নূর পাপিয়া। এ কাজে তাকে সর্বা'ত্মক সহযোগিতা করেন স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮)। নরসিংদীতে অ'বৈ'ধ অ'স্ত্র ও মা'দক ব্যবসা, চাঁ'দাবা'জি, চাকরি দেয়ার প্রলো'ভন দেখিয়ে আ'র্থিক প্রতা'রণা, জমির দালা'লি, সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স প্রদান, গ্যাসলাইন সংযো'গ দেয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আ'ত্ম'সাৎ করেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের এই সাধারণ সম্পাদক।
পরে তাকে সংগঠন থেকে ব'হি'ষ্কার করা হয়। পুলিশের এসআই ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নামেও লাখ লাখ টাকা হা'তিয়ে নেন পাপিয়া-সুমন দম্পতি। র্যাব-১ এর অভি'যানে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গোপনে দেশত্যা'গের আগে পাপিয়া-সুমন দম্পতিসহ চারজনকে অ'বৈ'ধ অ'র্থপা'চারের অ'ভিযো'গে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮নং ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন'স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভি'যান পরিচালনা করে একটি বিদেশি পি'স্ত'ল, দুটি পি'স্ত'লের ম্যাগ'জিন, ২০ রাউন্ড পি'স্ত'লের গু'লি, ৫ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জ'ব্দ করে র্যাব। গ্রে'ফতারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং রোববার ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভি'যান চালানো হয়।
এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮নং ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন'স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভি'যান পরিচালনা করে একটি বিদেশি পি'স্ত'ল, দুটি পি'স্তলের ম্যাগ'জিন, ২০ রাউন্ড পি'স্ত'লের গু'লি, ৫ বোতল বিদেশি ম'দ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জ'ব্দ করে র্যাব। রোববার বিকেলে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল।
তিনি বলেন, জি'জ্ঞা'সাবাদে পাপিয়া-সুমন দম্পতির বর্তমান সম্পদ ও বিলাসবহুল জীবনযাপন সম্পর্কে চা'ঞ্চ'ল্যকর সব তথ্য উঠে এসেছে। সুনির্দিষ্ট পেশা না থাকা সত্ত্বেও তারা স্বল্প সময়ে বিপুল সম্পত্তি ও অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। এছাড়া তেজগাঁও এফডিসি গেটসংলগ্ন এলাকায় অংশীদারিত্বে তাদের 'কার একচেঞ্জ' নামক গাড়ির শোরুমে প্রায় এক কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে এবং নরসিংদী জেলায় 'কেএমসি কার ওয়াস অ্যান্ড অটো সলিউশন' নামক প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে।