রাজধানীর ফুটপাতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি পোস্টার বিছানো। তার ওপর রয়েছে একটি বালিশ এবং দুটি শিশু। তারা দুজনেই গভীর ঘুমে। একটি শিশু ঠি'কঠা'ক অবস্থানে থাকলেও আরেকজনের পায়ের অংশ রাস্তায় এবং মাথার অংশ পোস্টারের ওপরই রয়েছে। তাদের এই ঘুম ভা'ঙলেই কাল দেখবে আনন্দের ঈদ।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর ফুটপাতে (শিশু দুটির পরিবারের অনুরোধে এলাকার নাম গোপন রাখা হলো) এভাবে দুই শিশুকে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকতে দেখা যায়। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর দেখা গেল, পাশের ফুটপাতের একটি খুপড়ি ঘর থেকে ষাটোর্ধ এক নারী ছুটে আসলেন শিশুদের কাছে। তার চোখেমুখে কিছুটা শ'ঙ্কা, ভ'য়ের ছাপ।
কথা বলে জানা গেলো ওই নারীর নাম মর্জিনা। সম্পর্কে শিশু দুটির নানী। ছবি তুলতে চাইলে তিনি কিছুটা ভী'ত হয়ে ক্ষে'পে গেলেন। জানালেন, অনেকে এভাবে ছবি তুলে কোথায় যেন পোস্ট করে। পরে তাদেরকে পুলিশ ফুটপাত থেকে তাড়িয়ে দেয়। ফলে পড়তে হয় মহা'বি'পদে। অবশ্য আলাপের একপর্যায়ে ছবি তোলা ও প্রকাশের অনুমতি দেন তিনি। তবে শর্ত জুড়ে দেন, স্থানের নাম বলা যাবে না। তাহলে তা'ড়িয়ে দেয়া হবে তাদের।
ফুটপাতে এভাবে শিশু দুটিকে শুয়ে রাখার কারণ জানতে চাইলে মর্জিনা জানান, বাচ্চাদের গরম লাগছিল। বার বার ঘেমে যাচ্ছিল। তাই একটু বাতাসের জন্য ফুটপাতে শুয়ে রেখেছেন। এই বলে তিনি ফুটপাতে পাতা একটি খুপড়ি দেখালেন। ওটাই তাদের আবাসস্থল।
মর্জিনা আরও জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ছিল কুড়িগ্রামে। তিস্তার ভাঙ'নে বাড়িঘর হা'রিয়েছেন। এরপর থেকে ঢাকার ফুটপাত তাদের আশ্রয়। অন্যদিকে স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। তার মেয়ের এ দুই শিশু। মেয়ের স্বামী পেশায় রিকশা চালক। কিন্তু তিনি ঠি'কঠা'ক কাজকর্ম করেন না। মূলত তিনি ও তার মেয়ের আয়েই চলে তাদের সংসার।-জাগো নিউজ