নারায়ণগঞ্জের মসজিদে ভ'য়াব'হ বি'স্ফোর'ণে সেই আহ'ত মুসল্লিদের জন্য লাইন ধ'রে র'ক্ত দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কার র'ক্ত কার শরীরে যাবে তা কেউ জানে না, জানে শুধু র'ক্তের বিকল্প নাই তাই দিতে হবে। বাঁ'চা-ম'রার ল'ড়াইয়ে কতজন টিকে জানা নেই। তারপরও তারা উদাহরণ তৈরি করেছেন যে, মানবতা টিকে আছে এখনও।
রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউটের সামনে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ র'ক্ত সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু মানুষের লাইন শেষ হয়নি। অনেক রাত পর্যন্ত র'ক্ত দেয়ার জন্য দাঁ'ড়িয়ে ছিলেন মানুষ।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় টেলিফোনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ দু'র্ঘট'নার জন্য সকাল ৮টা থেকে র'ক্ত সংগ্রহ শুরু করেছিলাম। চেয়েছিলাম গতকাল রাতে। জানতাম না আজ দিনে কেমন সাড়া পাবো।
আজ দিন যত গড়িয়েছে,ততই অভিভূত হয়েছি। আটতলায় আমাদের ব্লাড ব্যাংক। অনেক চাপ থাকার কারণে লিফটে জায়গা হচ্ছিল না। তাই অনেকেই সিঁড়ি বেয়ে এসেছেন। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউটের এ চিকিৎসক বলেন, আমাদের যে পরিমাণ র'ক্ত ও প্লাজমার প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি আমরা পেয়েছি। কিন্তু এখনও অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে র'ক্ত দেয়ার জন্য।
মানুষের আবেগের উদাহরণ দিয়ে ডা. আশরাফুল হক বলেন, ঘর্মান্ত পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিও হাঁপাতে হাঁপাতে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছ ব্লাড দেওয়ার জন্য। জানতে চাইলাম কিভাবে জানলেন? জানালেন হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন,এত ভিড়ের কারণ খুঁ'জতে গিয়ে জানতে পারলেন এবং চলে আসলেন তাদের পাশে দাঁড়াতে।কাল উনার দুই ছেলেকে নিয়ে আসবেন কথা দিলেন। কেউ বলেছেন মিডিয়ায় দেখে এসেছেন।