 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
নিউজ ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো, ঢাকাকে একটি উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তোলা। পৃথিবীর উন্নত কোনো দেশের উন্মুক্ত সড়কে, পার্কে, খেলার মাঠে বেওয়ারিশ কুকুর পাওয়া যায় না। আমরা ঢাকাকেও সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই, একটি উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
মঙ্গলবার নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাদের বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণ, দেশি-বিদেশি গবেষণা ও ত'থ্য-উপা'ত্ত উপস্থাপন করেন।
সভায় মেয়র বলেন, আপনাদের বরাতে যে বিষয়টি উঠে এসেছে, সেটি হলো, অনেকগুলো বেওয়ারিশ কুকুরকে কেউ না কেউ পুষছে, বা খাবার দিচ্ছে বা তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে এগুলোকে দেখভাল করছে। সেসব বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে যদি আপনারা চিহ্নিত করেন, তাহলে আমরা সেগুলো স্থানান্তর করব না।
তিনি আরও বলেন, একটা আলোচনা বা বৈঠকের মাধ্যমে এ সমস্যার কার্যকর সমাধান হবে না। আজ বৃহৎ পরিসরে বসলাম, প্রয়োজনে আমরা আরও বাসবো। এরই মধ্যে এসব বেওয়ারিশ কুকুরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের কাছে আপনাদের কিছু সুপারিশ বা কিছু পরামর্শ লিখিত প্র'স্তাব আকারে দিন। আমাদের কর্ম পরিকল্পনার সাথে আপনাদের সুপারিশ, পরামর্শগুলো সমন্বয়ের প্রয়াস থাকবে। তবে আমাদের সমন্বিত সেই প্রয়াসে আমরা সবাই মিলে একটি যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধা'ন্তে উপনীত হতে চাই, যাতে করে যত্রতত্র বেওয়ারিশ কুকুরগুলো উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াতে না পারে, সেটাই আমাদের সর্বোচ্চ বিবেচ্য বিষয়।
তাপস বলেন, আপনারা মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন, যেন কেউ একটু খাবার দিয়ে বেওয়ারিশ কুকুরের প্রতি ভালোবাসার দায়সারা বহিঃপ্রকাশ না করে সেসব বেওয়ারিশ কুকুরের পরিপূর্ণ দায়িত্ব নেন। বেওয়ারিশ কুকুরপ্রেমী মানুষজন যেন এসব পশুকে পোষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন এবং পোষ্য প্রাণীর পরিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এসব বেওয়ারিশ কুকুরকে পোষ্য কুকুর হিসেবে গ্রহণ করে পূর্ণ দায়িত্বে যেন নিজ ঘরে নিয়ে যান এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিপূর্ণ পরিচর্যার ব্যবস্থা নেন। খাবারের পাশাপাশি যেন পরিপূর্ণ ভরণপোষণ করেন, সঠিকভাবে পরিচর্যা করেন। এতে করে নগরবাসীও শান্তি পাবে, সকলেই স্বস্তিতে থাকবে, বেওয়ারিশ কুকুরগুলোও নিরাপদ থাকবে।