ঢাকা : রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার মাস্টারমাইন্ড স্কুলের 'ও' লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা আমিন অর্ণাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে মূল অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহান। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ চার কিশোরকে আটক করে পুলিশ। এদিকে মেয়ের হত্যার বিচার চেয়েছেন আনুশকার মা।
নিহতের মা বলেন, 'আমার মেয়েকে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। ওর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ওর হাতে দাগ আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। কেন আমার মেয়েকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এভাবে মারা হলো। আমার মেয়ের বান্ধবীর ভাই আমাকে বলেছে, ওই ছেলেকে তারা চেনে। ওই বখাটে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমার মেয়ের সঙ্গে কারো সম্পর্ক নেই। মেয়েকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ওই বখাটেসহ চারজন মিলে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশ মূল অভিযুক্ত ফারদিনসহ চারজনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ফারদিন পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, ওই শিক্ষার্থীর বাসা ধানমণ্ডির সোবহানবাগে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সে তার বাসা থেকে বের হয়। পরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই বন্ধু তার তিন বন্ধুকে ফোন করে ডেকে আনে।
পরে তারা অসুস্থ শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য মডার্ন আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে নিহত আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে আনুশকার বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানকে।