আতিকুর রহমান তমাল : শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি দিহানের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঝে মাঝে দিহান বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে বাসায় আসতেন। কলাবাগানে দিহানের বাসার কেয়ারটেকার মোতালেব শনিবার (৯ জানুয়ারি) এমন তথ্য জানান।
তবে তিনি বলেন, বাসা ফাঁকা থাকলে মাঝে মাঝে দিহান বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে বাসায় আসলেও হত্যা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে তা তিনি ধারণাও করতে পারেননি। তিনি দাবি করেন ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। সেদিন দায়িত্বপালন করছিলেন কেয়ারটেকার দুলাল। সেদিনের এই ঘটনার পর দুলাল পলাতক আছেন বলেও জানান মোতালেব।
এসব বিষয়ে জানতে দিহানের তিনতলার বাসায় নক করা হলে দিহানের মা কথা বলতে রাজি হননি। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর দরজার ওপার থেকে তিনি জানান ''বাসায় কেউ নেই, সবাই রাজশাহী গেছেন।'' ওই বাড়ির ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতির কাছে দিহানের মায়ের ফোন নম্বর নিয়ে দিহানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তার ছেলে এমন কাজ করতে পারে তিনি তা তিনি কল্পনাও করতে পারেন না।
এ সময় তাকে দিহানের বড় ভাই সুপ্তর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এখন অনেকেই অনেক কথা বলছেন কিন্তু আপনারা জেনে তারপর নিউজ করবেন। কয়েক বছর আগে দিহানের বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে মামলাও হয় রাজশাহীতে। এলাকাবাসী কেউই দিহানের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
বিপুল অর্থসম্পদ ও ঢাকা রাজশাহীতে একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক দিহানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকার। তিনি তার বড় ছেলে সুপ্তসহ রাজশাহীতে থাকেন। মেঝ ভাই ও ছোটভাই দিহানসহ তাদের মা থাকেন কলাবাগানের বাসায়। এদিকে ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) রাতে আটক ফারদিন ইফতেখার দিহানের তিন বন্ধুকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কলাবাগান জোনের এডিসি এহসানুল ফেরদৌস। ঢাকা মেডিকেলের ফেরনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর ডিএনএর একাধিক নমুনা নেওয়া হয়েছে, তা পরীক্ষার পর এই ঘটনার আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। সূত্র : সময় টিভি