রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসায় ডেকে নিয়ে ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ওই বাসার দারোয়ান দুলালকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন রোড থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে দুলাল পলাতক থাকলেও পুলিশ বলছে, নজরদারির মধ্যেই ছিলেন তিনি। হেফাজতে আনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দিনের যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন, এর সঙ্গে দিহানের দেওয়া বর্ণনার অনেকটাই মিল পাওয়া গেছে।
ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের এসি আবুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই নজরদারিতে ছিলেন ওই বাসার দারোয়ান দুলাল। ঘটনার যথার্থতা যাচাইয়ে তার প্রয়োজন বোধ করায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে দিহানের দেওয়া বর্ণনা মিলিয়ে দেখা হবে। যেহেতু দারোয়ান এজাহারভুক্ত আসামি নন, তাই তাকে আটক রাখা হবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে যদি মনে হয় ছেড়ে দেওয়া উচিত, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলের আশপাশের পুরো এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি। পাশাপাশি দিহানের ওই তিন বন্ধুর মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে ঘটনার সময় তারা কোথায় ছিল সেই লোকেশন বের করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আমরা ছেড়ে দিয়েছি। তবে তারা নজরদারির বাইরে নয়। প্রয়োজনে তাদের আবার হেফাজতে নেওয়া হবে।’
ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে আমরা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দারোয়ানকে হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরে জানানো হবে। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দু-এক দিনের মধ্যে দিহানের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।