নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর কলাবাগানে ছাদে কাপড় শুকাতে গিয়ে এক কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দৃশ্য বাসার দারোয়ান দেখে ফেলায় লজ্জায় বাথরুমে ঢুকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের পর আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া কিশোরীর নাম জান্নাত (১৭)। বুধবার সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান।
পুলিশ জানায়, কলাবাগানের নর্থ সার্কুলার রোডের ৫৮ নম্বর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিল জান্নাত। বুধবার দুপুরে সে ভেজা কাপড় শুকানোর জন্য নয় তলা ভবনটির ছাদে নিয়ে যায়। ছাদে ওঠার সিঁড়িতে ওই বাসার নিরাপত্তাকর্মী জুনায়েদ মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনা দেখে ফেলে বাসার দাঁরোয়ান খোরশেদ। জুনায়েদ তাকে ঘটনাটি গোপন রাখার জন্য চাপাচাপি করে। তবে সেই নিরাপত্তাকর্মী বিষয়টি গিয়ে গৃহকর্তাকে জানান। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা লোকজন জেনে ফেলায় লজ্জায় বাসার বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দেয় জান্নাত।
ওসি আসাদুজ্জামান জানান, আমি সিসি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানতে পেরেছি জান্নাত ২টা ১৮ মিনিটে বাথরুমে প্রবেশ করে। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জান্নাতকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বাসার নিরাপত্তারক্ষী জুনায়েদকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় জুনায়েদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কলাবাগান থানা পুলিশ। পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য জুনায়েদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওসি (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।