ভয়াবহ আগুনে পুড়ল সেজান জুস কারখানা। সাথে শেষ করে দিল বহু পরিবার। লাশের জন্য এখন হাসপাতালের সামনে আহাজারি।
আহারে আমি কি হারাইলাম, আমার এই বাচ্চা পোলা এখন মা ডাকবো কারে? তুমি একলা করে দিয়ে গেলা আমাগোরে আমেনা। কেন চা খাইতে গেলাম? না গেলে হয়তো কোন ভাবে বাঁচাতে পারতাম আমার আমেনাকে। এমনভাবে পুড়ে মরতে হতো না। চোখের সামনেই যে ভয়ঙ্কর আগুন দেখলাম।
চার বছরের শিশু সন্তান রাফিনকে কোলে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল এর মর্গে রুদ্ধ হয়ে আসা কণ্ঠে এভাবেই বলছিলেন, সেজান জুস কারখানার শ্রমিক রাজীব। নারায়ণগঞ্জের কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুনে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছেন ভালোবাসার মানুষটিকে। গত কয়েকদিন ধরে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানিও এখন প্রায় শুকিয়ে এসেছে।